অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: দুর্গন্ধে টিকতে পারছিলেন না স্থানীয়রা। ভেবেছিলেন হয়তো কিছু পচে গিয়েছে। গন্ধের উৎস খুঁজতে একটি বাড়ির দিকে এগিয়েও গিয়েছিলেন স্থানীয়রা। তবে দরজার সামনে পৌঁছে কার্যত তাজ্জব তাঁরা। দেখেন দরজার ফাঁক দিয়ে বেরচ্ছে রক্ত। ছুটির সকালে এমন ঘটনায় তাজ্জব হাওড়ার শিবপুরের প্রসন্নকুমার লেনের বাসিন্দারা।
ঘটনাটি ঠিক কী? হাওড়ার শিবপুরের প্রসন্নকুমার লেনের ওই বাড়িটি মালতী সরকার। বছর পঁয়ষট্টির মালতীদেবী অসুস্থ। ৪৮ বছর বয়সি ছেলে লাল্টু সরকারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। স্বামী রেলকর্মী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর মা-ছেলের সংসার পেনশনের টাকাতেই চলত। প্রতিবেশীদের দাবি, মা-ছেলে কারও সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখতেন না। গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়নি কারও।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল কাউন্সিলরকে ফাঁসাতে হাই কোর্টের রায় বিকৃত করার অভিযোগ, গ্রেপ্তার প্রৌঢ়]
দু’দিন ধরে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরচ্ছিল। রবিবার সকালে ওই বাড়িটির সামনে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন দরজার ফাঁক দিয়ে বেরচ্ছে রক্ত। ভেসে আছে পচা গন্ধ। তড়িঘড়ি শিবপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। ভিতরে ঢুকে কার্যত তাজ্জব পুলিশ-প্রতিবেশীরা। দেখেন চেয়ারে বসেই মৃত্যু হয়েছে লাল্টুর। পাশের ঘরের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন তাঁর মা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, প্রায় তিনদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে লাল্টুর। মালতী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।