নব্যেন্দু হাজরা: বুধবার থেকে তিনদিন রাজ্যজুড়ে 'চাক্কা জ্যামে'র কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ট্রাক চালকরা। তাঁদের অভিযোগ পণ্য পরিবহণের সময় পুলিশ ও সিভিক পুলিশের হেনস্থা শিকার হতে হয়। সেই আবহে বীরভূমে কয়েকজন ট্রাক চালকদের হাতে আক্রান্ত হলেন মোটর ভেহিকেল ইনস্পেক্টর বাবলু টুডু। তাঁর অভিযোগ, একটি ট্রাক ধরে ওভারলোড ফাইন করার সময় ২০ থেকে ২৫ জন লোক তাঁর উপর হামলা চালায়। বাবলুবাবুর দাবি, সেই দলে বীরভূম ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনিস আহমেদ ছিলেন।
ওই ইনস্পেক্টর জানিয়েছেন, সোমবার সিউড়ির অর্ন্তগত খয়রাকুরি চেকপোস্টের কাছে ডিউটি করা কালীন, একটি গাড়ি তিনটনের অধিক মালবহন করলে তা আটকান তিনি। এর পরেই কয়েকজনের দল চেকপোষ্টের ভিতর এসে ঝামেলা করতে থাকে। অভিযোগ, বাবলুবাবু ভয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে তা ভেঙে তাঁর উপর চড়াও হয় ২০ থেকে ২৫ জন। আরও অভিযোগ, তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই আধিকারিকের দাবি, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছিল। কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ৩০০ সিলিন্ডার নিয়ে পালিয়ে গেল গ্যাস অফিসের কর্মী! চরম ভোগান্তির শিকার বনগাঁর বাসিন্দারা]
বাবলু টুডু বলেন, "প্রতিদিনই ওই চেকপোস্টে গাড়ি চেকিং করি। সোমবারে একটি তিনটন ওভারলোড গাড়ি আটকাই। সেই সময় কিছুজন আমার উপর হামলা করে। লোহার কোনও অস্ত্র দিয়ে আমার চোখের উপরে আঘাত করে। রক্ত বেরিয়ে আসে। সেখানে আমি একাই ছিলাম। কোনও মতে সহকর্মীদের ডাকলে তাঁরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হামলাকারীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।" তাঁর দাবি ওই হামলাকারীদের দলের কাউকে না চিনলেও সেখানে বীরভূম ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন।
এদিকে বুধবার থেকে ডার্ক পার্টি, পুলিশ ও সিভিক পুলিশের হেনস্থা বন্ধ, অনলাইনে কেস দিয়ে রাস্তায় ট্রাক চালকদের থেকে টাকা আদায় ও রাজ্যের কিছু রাস্তায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বন্ধ করা-সহ সাত দফা দাবি তুলে ৭২ ঘণ্টার 'চাক্কা জ্যামে'র সিদ্ধান্তে অনড় থাকছেন ট্রাক চালকরা। এর ফলে পুজোর মুখে রাজ্যজুড়ে পণ্য পরিবহণ ধাক্কা খাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।