সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশ (Mahya Pradesh)। গার্হস্থ্য হিংসার হাত থেকে বাঁচতে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মামার বাড়িতে এসে থাকার জন্য আদিবাসী এক যুবতীকে গাছে বেঁধে মারধর করল ওই যুবতীরই বাবা এবং ভাইরা। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। যারপর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরের বোরি পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত ফুত্তালাব গ্রামের। সম্প্রতি বিয়ে হয়েছিল ১৯ বছর বয়সি ওই আদিবাসী যুবতীর। বিয়ের পরই স্বামী গুজরাটে কাজের জন্য চলে যান। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে এরপরই নানাভাবে অত্যাচারিত হতে থাকেন ওই যুবতী। শেষপর্যন্ত গার্হস্থ্য হিংসার হাত থেকে বাঁচতে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন মামার বাড়িতে। কিন্তু কোনওভাবে যুবতীর বাবার কানে ঘটনাটি পৌঁছায়। এরপরই ২৮ জুন যুবতীকে টেনে হিঁচড়ে মামার বাড়ি থেকে বের করেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসায় মেয়েকে মারধর করতে থাকেন তিনি। তাতে যোগ্যসঙ্গত দেয় যুবতীর ভাইয়েরাও।
[আরও পড়ুন: হুইলচেয়ার সরিয়ে রেখে বাস্কেটবলে মাতলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর! ভাইরাল ভিডিওয় বিস্মিত নেটিজেনরা]
এরপর প্রকাশ্যে রাস্তায় যুবতীকে গাছে বেঁধে চলে মারধর। রাস্তা দিয়ে সেসময় অনেকে যাতায়াত করলেও কেউ যুবতীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। তবে কেউ একজন যুবতীকে মারধরের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি দেখেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। এরপরই যুবতীর বাবা কেল সিংকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া করম ভেল, ভুবন ভেল এবং দীনেশ ভেলকেও গ্রেপ্তারও করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলাও রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও তুলেছেন স্থানীয়রা। এমনকী নেটদুনিয়াতেও অনেকেই এই ঘটনার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।