সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাথুরাম গডসে (Nathuram Godse)। নামটা উচ্চারিত হলেই ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধীর রক্তস্নাত মৃতদেহের কথাই মনে পড়ে আপামর ভারতবাসীর। মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) সেই হত্যাকারীর নামেই কিনা লাইব্রেরি খুলেছিল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা (Akhil Bharatiya Hindu Mahasabha)। শুরু হয়েছিল প্রবল বিতর্ক। অবশেষে বিতর্কের জেরে সেই ‘গডসে জ্ঞানশালা’ বন্ধ করে দিল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পুলিশ।
রবিবার মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা উদ্বোধন করেছিল ওই লাইব্রেরির। মহাসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নাথুরামের মতামত ও বিশ্বাস দেশের যুবসমাজকে জানানোর উদ্দেশ্যেই এই লাইব্রেরি। ওই লাইব্রেরিতে দেশভাগের কারণ সম্পর্কে লেখা বিভিন্ন বই রাখা হয়েছিল। এর ফলে আজকের ভারতীয় যুবসমাজ সেই সময়ের অনেক সত্যি ঘটনা জানতে পারবেন বলে দাবি করেছিলেন হিন্দু মহাসভার সদস্যরা। সেই সঙ্গে নাথুরামের নানা বক্তৃতা, ছবি ইত্যাদিও রাখা ছিল সেখানে।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের ঊর্ধ্বে ত্রাতা PM CARES! এই তহবিল থেকেই ভ্যাকসিন কিনতে পারে সরকার]
খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় কঠোর সমালোচনা। কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষ করে বলা হয়, মহত্মা গান্ধীর দেশে নাথুরাম গডসের মতামত প্রচারের চেষ্টা করছে বিজেপি-আরএসএস জুটি। এই ধরনের কটাক্ষে অস্বস্তি বাড়ছিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের। অবশেষে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পুলিশকে অবিলম্বে ওই লাইব্রেরির বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়। শেষপর্যন্ত পুলিশ এসে বন্ধ করে দিল লাইব্রেরিটি।
বিরোধী নেতা কমল নাথ মঙ্গলবারই ওই লাইব্রেরির প্রবল নিন্দা করে বলেছিলেন, ‘‘সকলে গডসেকে জানেন। ওর আদর্শও জানা। সেই আদর্শ প্রচারের আর দরকার কী? ওরা তো মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ প্রচারের জন্য কিছুই করেনি!’’ বিজেপির প্রতি আক্রমণ শানিয়ে তিনি দাবি করেন, এর পিছনে বিজেপিও রয়েছে। তারা দেশে নাথুরাম গডসের মতবাদ প্রচার করতে চায় বলে তোপ দাগেন তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালে নাখুরামের নামে মন্দিরও বানাতে চেয়েছিল হিন্দু মহাসভা। সেবারও বিতর্কের জেরে শেষমেশ সব পরিকল্পনা রদ করতে বাধ্য হয় তারা।
[আরও পড়ুন : লাদাখ সীমান্তে চিন-পাকিস্তানের যোগসাজশ উদ্বেগজনক! আশঙ্কার কথা শোনালেন সেনাপ্রধান]