রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের বিজেপির (BJP) হেস্টিংস অফিসে উত্তেজনা। এবার তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর গাড়ির বনেটের উপরেও হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে শাসকদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এদিকে, এই ঘটনার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানালেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
শনিবার সকালে বিজেপিতে আসা নবাগতদের সংবর্ধনা দেওয়ার কথা বিজেপির তরফে। সেই মতো বিজেপির হেস্টিংস অফিসে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আসেন তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডল (Sunil Mandal)। অভিযোগ, সাংসদ আসতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ঝান্ডা দিয়ে গাড়ির বনেটে মারা হয় বলেও অভিযোগ। সুনীল মণ্ডলকে কোনওরকমে বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি তৃণমূল কর্মীদের। উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। সুনীল মণ্ডলকেও তৃণমূল কর্মীরা ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপির হেস্টিংস পার্টি অফিসের সামনে তৃণমূল অস্থায়ী মঞ্চ করে কৃষি আইনের প্রতিবাদে পথ সভা করছে। মাইক বাজছে। তার ফলে আবারও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, “নক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এর থেকে বড় নোংরামি আর হয় না। কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে এসব কী করে হয়? পুলিশ দলদাস হয়ে বসে আসে। মানুষের সময় খারাপ হলে বিবেক নষ্ট হয়ে যায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকতে পারবে তো।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, সুনীল মণ্ডলের উপর হামলা চালানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনের ভোলবদল, বিমানবন্দরের ধাঁচে তৈরি হবে বিলাসবহুল লাউঞ্জ-শপিং মল]
উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে বঙ্গ সফরে আসেন অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রথমদিনে মেদিনীপুরে জনসভা করেন তিনি। দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ওই জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী, সুনীল মণ্ডল, শীলভদ্র দত্ত-সহ একাধিক তৃণমূল নেতারা যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। তাঁদেরই শনিবারই বিজেপির হেস্টিংস অফিসে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা। তার আগেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে দফায় দফায় চরম উত্তেজনা হেস্টিংসে।