সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের (Rape) চেষ্টা করায় অভিযুক্তের গোপনাঙ্গ কেটে নিলেন এক গৃহবধূ। ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পাশাপাশি অভিযুক্তের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে গৃহবধূর বিরুদ্ধেও। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সিদ্ধি জেলায়।
ঠিক কী হয়েছিল? খারি পুলিশ আউটপোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর জানিয়েছেন, ”ওই মহিলার স্বামী কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন তিনি ও তাঁর তেরো বছরের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ অভিযুক্ত লুকিয়ে তাঁদের বাড়িতে ঢোকেন। বাড়িতে চোর এসেছে ভেবে ওই মহিলার ছেলে বাইরে যায় সাহায্য চাইতে। এই সুযোগে ঘরে ঢুকে মহিলার উপরে চড়াও হয় অভিযুক্ত।”
[আরও পড়ুন: ‘ছেঁড়া জিনস’ মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, তবুও রইলেন বক্তব্যে অনড়]
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করলেও ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে তাকে প্রতিহত করেন ওই গৃহবধূ। অনেক চেষ্টা করেও নিজের দুরভিসন্ধিতে সফল হতে পারেনি সে। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে হাতের কাছে একটি কাস্তে পড়ে থাকতে দেখে সেটি হাতে তুলে নিয়ে সেটা দিয়েই অভিযুক্তের গোপনাঙ্গ কেটে নেন তিনি। পরে রাত দেড়টা নাগাদ থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় অভিযুক্তকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে প্রথমে সিদ্ধি জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেখান থেকে সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তাকে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা, কারও বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের মতো একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে অভিযুক্ত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধেও।