সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে মহেন্দ্র সিং ধোনির বদলে ঋষভ পন্থের জায়গা পাওয়াটা ঠিক করে দিয়েছেন ধোনি-ই! বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন খোদ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর দাবি, ধোনির ইচ্ছেতেই তরুণ ঋষভ সুযোগ পেয়েছেন। তবে, কোহলির কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, জাতীয় টি-২০ দলে ধোনির ফেরার সম্ভাবনা কম।
[বিতর্ক এড়াতে অস্ট্রেলিয়া সফরে বিরাটদের মেনু থেকে বাদ ‘বিফ’]
যেন ঈশ্বরের আপন রাজ্যে দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন কোহলি স্পষ্ট করে দিলেন, আপন ইচ্ছায় এমএস ধোনি টি-টোয়েন্টিতে নেই। “ধোনিই জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে পন্থের ঢোকার রাস্তা করে দিয়েছেন,” এদিন সাংবাদিকদের বলেন কোহলি। ব্যাপারটা আরও সবিস্তার বোঝাতে এরপরে ভারত অধিনায়ক যোগ করেন, “আমি যদি ভুল না হই তা হলে বলতে পারি নির্বাচকেরা ইতিমধ্যে এই বিষয়ে মিডিয়ায় বলে দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা, ওর (ধোনি) সঙ্গেও এই নিয়ে কথা বলেছেন। আমি সেই আলোচনায় ছিলাম না। সেজন্য আমার এখানে বসে বিষয়টা নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনও কারণ আছে বলে মনে করছি না। নির্বাচকেরাই যা ঘটেছে সব ব্যাখ্যা করেছেন। আমার মনে হয়, লোকজন ব্যাপারটার গায়ে বড্ড বেশি যদি-কিন্তু চাপাতে চাইছেন। সেরকম কিছু যে আদৌ নয় সেটা আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি। এমএস এখনও ভীষণ ভাবেই আমাদের টিমের অঙ্গ। ও আসলে জাস্ট মনে করেছে যে, টি-টোয়েন্টিতে ওর জায়গায় ঋষভ পন্থের মতো তরুণ একজন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের বেশি করে সুযোগ পাওয়া দরকার। ওয়ানডে-তে ভারতের হয়ে ধোনি-ই খেলবে। আর সেদিক দিয়ে ধোনি নিজেই চেষ্টা করছে আমাদের অন্য শর্ট ফরম্যাটের দলে তরুণ কাউকে সুযোগ দেওয়ার কাজে সাহায্য করতে। এর বাইরে আর কিছুই নয়, যা লোকজনরা ভাবছেন। এবং ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে আমি সবাইকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করছি।”
[পাত্তাই পেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শেষ ম্যাচেও সহজ জয় ভারতের]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের জাতীয় দলে রাখা হয়নি ধোনিকে। অনেকেই বলছেন, ধোনির আন্তর্জাতিক টি-২০ কেরিয়ার কার্যত শেষ, আর সে ইঙ্গিত দিতেই ধোনিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া খারাপ ফর্মের দরুন অনেক প্রাক্তনীও ধোনিকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। কিন্তু এদিন মাহির পাশে দাঁড়িয়ে কোহলি জানিয়ে দিলেন ৫০ ওভারের ম্যাচে এখনও দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ধোনি।
The post মাহির ইচ্ছাতেই দলে ঋষভ, ধোনি বিতর্কে মুখ খুললেন কোহলি appeared first on Sangbad Pratidin.