ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অচলাবস্থা অব্যাহত। অনশনের দশম দিনেও কাটল না জট। পরিবর্তে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। পড়ুয়াদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে আর কলেজে যাবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ। স্বাস্থ্যভবনে বসেই কাজ করবেন বলেই স্থির করেছেন তাঁরা।
শুক্রবার মেডিক্যাল (Calcutta Medical College) পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষের। সেই মতো আলোচনা শুরুও হয়। বৈঠকের মাঝেই ছাত্রদের তরফে অধ্যাপককে রীতিমতো আক্রমণের সুরে বলা হয়, “আপনাদের চেয়ারের যোগ্যতাই নেই। আপনারা একটা করে দিন স্থির করেন আর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেই দিনটা বাতিল করে দেয়। শুধু তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকেন আপনারা।” ছাত্রদের মুখ থেকে এমন বক্তব্য শুনেই ফ্যাকাল্টি অধ্যাপক-সহ বৈঠকে উপস্থিত ব্যক্তিরা বেরিয়ে আসেন। কাউন্সিল আর পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়নি। আলোচনা অর্থহীন বলে জানান উপাধ্যক্ষ ডা. অঞ্জন অধিকারী। গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনকেও জানানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘নিয়ম মেনে রাজনীতি করুন’, কোন্দল রুখতে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের ধমক শাহের]
এই মনোমালিন্যের পর বৈঠক ভেস্তে যায়। পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। কারণ, উপাধ্যক্ষ ও প্রিন্সিপাল স্থির করেছেন আর মেডিক্যাল কলেজে যাবেন না তাঁরা। স্বাস্থ্যভবনে বসেই প্রয়োজনীয় কাজ সারবেন তাঁরা। উপাধ্যক্ষ ও প্রিন্সিপাল জানান, অনশনকারীরা তাঁদের সন্তানসম। তাই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাঁরা। আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু পড়ুয়াদের এহেন আচরণ সমর্থনযোগ্য নয়। সে কারণে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, শুক্রবার অনশন চলাকালীন আরও এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত ঠিকই আছে। দুশ্চিন্তার আর তেমন কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছেন না চিকিৎসকরা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একটি গণ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের সমর্থনে অনেকেরই ওই গণ কনভেনশনে যোগ দেওয়ার কথা।