সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় স্বপ্ন ও অসম্ভব লক্ষ্যপূরণের জন্য চাই সুযোগ্য নেতৃত্ব। আর সেই জন্যই রিলায়েন্সের (Reliance) উপরমহলে এবার পরিবর্তনের পালা। যার মধ্যে তিনি নিজেও রয়েছেন। এমনটাই জানালেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)।
মঙ্গলবার ছিল রিলায়েন্স ফ্য়ামিলি ডে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছরই পালিত হয় ওই দিন। ওই অনুষ্ঠানেই এই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মুকেশ। তিনি বলেন, ”বড় স্বপ্ন হোক কিংবা অসম্ভব লক্ষ্যপূরণ, এর জন্য প্রয়োজন সঠিক ব্যক্তি ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। রিলায়েন্স এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আমার প্রজন্মের সিনিয়রদের থেকে তরুণ নেতাদের পরবর্তী প্রজন্মের দিকে।” তাঁর মতে, এবার সময় এসেছে তাঁর সংস্থার সিনিয়রদের যাঁদের মধ্যে তিনিও পড়ছেন, আম্বানির মালিকানাধীন এক সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের ভোট দিন, ৫০ টাকায় মদ পাবেন’, বিতর্কিত প্রতিশ্রুতি অন্ধ্রের বিজেপি সভাপতির]
আম্বানির এহেন মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রিলায়েন্স চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেবেন মুকেশ? আর যদি ছেড়ে দেন তাহলে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে কে সেই দায়িত্ব পাবেন? এবিষয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হলে সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাওয়া হয়নি।
তবে মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, ”আমি নিশ্চিত যে আকাশ, ঈশা ও অনন্ত আগামী দিনের নেতা হিসেবে এগিয়ে আসবে এবং রিলায়েন্সকে নেতৃত্ব দিয়ে আরও উঁচু অবস্থানে নিয়ে যাবে।” তাঁর এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, তিনি পরিবারের সদস্যদেরই নেতৃত্বে দেখতে চাইছেন।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে চিকিৎসক-পুলিশ সংঘর্ষের জের, আন্দোলনে শামিল রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজও]
প্রসঙ্গত, এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি গত অক্টোবরেই ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। ‘ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্স’-এর পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, তাঁর এই নয়া মাইলফলক স্পর্শের খতিয়ান। সব সময়ই নতুন নতুন ক্ষেত্রে পা রাখতে চেয়েছেন মুকেশ। গত জুনেই তাঁর সংস্থা পা রেখেছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে। তিন বছরের জন্য ওই খাতে ১০ লক্ষ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন তিনি। এই নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সাহসই তাঁকে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। এবার তিনি চাইছেন আগামী প্রজন্মের হাতে দায়িত্বভার ছাড়তে। মঙ্গলবারের বক্তৃতা সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।