কৃষ্ণকুমার দাস: কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে প্রথম দফায় ১১টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন (Micro Containment Zone) ঘোষণা করেছে পুরসভা। কিন্তু এই সংখ্যাটি আরও অনেক বাড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার এনিয়ে ফের বৈঠকে বসছেন মেয়র ও পুরকর্তারা। এদিকে মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের পর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের উপসর্গ খুব বেশ না হওয়ায় হোম আইসোলেশনে আছেন বলে মেয়র জানিয়েছেন। সংক্রমিত হয়েছেন মেয়রের ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পরিবারের ৫ সদস্য।
মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন বৃদ্ধি সম্পর্কে মেয়র বলেন, “এবারের ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের গতি অনেক বেশি। শহরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, সংক্রমণ রুখতে পুলিশের সাহায্য নিয়ে শহরে আরও অনেক বেশি সংখ্যায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করতেই হবে।” পুরসভার চিকিৎসকদের একাংশ এদিন স্বীকার করেছেন শহরের বেশ কিছু এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সচেতন ব্যক্তিরা শরীর খারাপ হলেই যেহেতু পরীক্ষা করছেন তাই কোভিড (COVID-19) চিহ্নিত হচ্ছে। অধিকাংশ উপসর্গহীন করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না বলে আক্ষেপ করেছেন চিকিৎসকরাই।
[আরও পড়ুন: দুই বাঘের প্রেম প্রস্তাবে ‘না’, ভালবাসার অত্যাচারে জঙ্গল ত্যাগ কুমিরমারির বাঘিনীর!]
এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দক্ষিণ কলকাতার বরো ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। আলিপুর, নিউ আলিপুর, হাজরা, ভবানীপুর, কালীঘাট, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, যাদবপুর ও টালিগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন পল্লিতে সংক্রমিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্যদপ্তরের রবিবারের তথ্য, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩.১৯৪ জন। রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের অর্ধেকের বেশিই মহানগরে হওয়ায় উদ্বিগ্ন নবান্ন শহরে নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে।
পুরসভার তরফে প্রতি ওয়ার্ডেই কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেটের মতো জনবহুল এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাস্ক পরা ও কোভিড বিধি মেনে চলা নিয়ে লাগাতার মাইকে প্রচার করছে পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তর।