সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রিজন ভ্যান থেকে জন্মদিনের কেক কাটল দুষ্কৃতী। থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে এই কাণ্ড ঘটায় সে। কীভাবে এমন সুযোগ পেল খুনে অভিযুক্ত দুষ্কৃতী, উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে মহারাষ্ট্র পুলিশ।
রোশন ঝাঁ নামে ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরের বাসিন্দা। সে একাধিক খুন, খুনের চেষ্টা, তোলাবাজির মতো মামলায় জড়িত। মহারাষ্ট্রের একাধিক থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার রোশন। আদালতে পেশের সময় তাকে থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় রাস্তায় ভিড় করেছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সাঙ্গপাঙ্গরা।
[আরও পড়ুন: প্রোমোটিং বিবাদে নারকেলডাঙায় অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, গুরুতর অসুস্থ বধূ]
আদালতে পেশের দিনই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর জন্মদিন ছিল। তাই প্রিজন ভ্যানের বাইরে কেক হাতে দাঁড়িয়েছিল তারা। জানলা দিয়ে হাত বের করে জন্মদিনের কেক কাটে দুষ্কৃতী। এরপর প্রিজন ভ্যান আদালতের উদ্দেশে পাড়ি দেয়।
ওই দুষ্কৃতীর সাঙ্গপাঙ্গরা রোশনের কেক কাটার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছিল। পরে সেটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসেও দেওয়া হয়। তা চোখে পড়ে অনেকেরই। প্রিজন ভ্যানে বসে অভিযুক্তের জন্মদিনের কেক কাটার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। এই ঘটনায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রশ্ন উঠছে, নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে কীভাবে প্রিজন ভ্যানের এত কাছে চলে গেল অভিযুক্তর সাঙ্গপাঙ্গ? তবে কি নিরাপত্তাতেই শৈথিল্য ছিল? যারা কেক হাতে প্রিজন ভ্যানের কাছে এগিয়ে এল কেন তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিল না? কেনই বা অভিযুক্তের সাঙ্গপাঙ্গদের সরিয়ে দেওয়া হল না? যদিও এ বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।