সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়েছিলেন৷ সেটাই ছিল ‘অপরাধ’৷ মুসলমান ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তাঁরই জাতভাইদের বিরুদ্ধে৷ নাম জড়িয়েছে দুই মুসলমান যুবকেরই৷ ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে৷ অভিযুক্ত দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷
[ আরও পড়ুন: মেধাবী ও বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য ‘ভারতে পড়ুন’ প্রকল্প ঘোষণা বাজেটে]
উত্তরপ্রদেশের দিল্লি গেট থানা চত্বরের বাসিন্দা দিলশের৷ বছর পঞ্চান্নর ব্যক্তিটি একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন৷ চাকরি ছাড়া বাড়ির বাইরে সেভাবে দেখা যায় না তাঁকে৷ বাড়ি ফেরার পর সাধারণত সোজা স্নান করতে চলে যান দিলশের৷ তারপর শুরু হয় বই পড়া৷ এভাবেই চাকরির পর সময় কাটে দিলশেরের৷
দিনকয়েক আগেও ঠিক একই কাজ করেছিলেন তিনি৷ অফিস থেকে বাড়ি ফিরে ‘রামচরিত মানস’ এবং ‘গীতা’ পড়ছিলেন দিলশের৷ আচমকাই দিলশেরের বাড়িতে ঢুকে পড়ে জাকির এবং সুমন নামে দুই মুসলমান যুবক৷ অভিযোগ, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ কেন পড়ছেন দিলশের? এই প্রশ্ন তুলে বচসায় জড়ায় তিনজন৷ কথা কাটাকাটি চলাকালীন দিলশেরকে ওই যুবকরা মারধর করতে শুরু করে বলেও অভিযোগ৷ এমনকী হিন্দু ধর্মগ্রন্থটিও ছিঁড়ে দেওয়া হয়৷ আক্রান্ত দিলশের বলেন, ‘‘১৯৭৯ সাল থেকেই হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়াই আমার অভ্যাস৷ হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়ে মানসিক শান্তি পাই আমি৷ এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বহুবার হিন্দু ধর্মশাস্ত্র পড়ার জন্য মুসলমান যুবকেরা হুমকি দিয়েছিল৷ মারধরও করা হয়েছিল আমাকে৷’’
[ আরও পড়ুন: কাঁকড়ার জন্যই ভেঙেছে বাঁধ, রত্নাগিরির দুর্ঘটনায় আজব যুক্তি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর!]
মারধরের পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন দিলশের৷ দিল্লি গেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি৷ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি৷ তবে খুব শীঘ্রই জাকির এবং সুমন নামে ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তারির আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা৷ ধর্মনিরপেক্ষতাই আমাদের দেশের ঐতিহ্য৷ তা সত্ত্বেও দিলশেরের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অস্থিরতা বাড়াচ্ছে শুভবুদ্ধিসম্পন্নদের৷ যোগীর রাজ্যের এহেন ঘটনার সমালোচনায় সরব প্রত্যেকেই৷ভারতই যে প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতার ধারক, তা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷
The post হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়ার ‘অপরাধ’, জাতভাইদের হাতেই প্রহৃত মুসলিম ব্যক্তি appeared first on Sangbad Pratidin.