সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরের অভিজাত পরিবারের গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু৷ কালীপুজোর রাতে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ৷ মৃতার স্বামীর দাবি, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী৷ যদিও তাঁর বাপেরবাড়ির দাবি, স্বামীই খুন করেছে ওই মহিলাকে৷ নিউ আলিপুর থানায় মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷
[স্কুল অফ ট্রপিক্যালে আগুন, ব্যাহত পরিষেবা]
সাহাপুরের জে ব্লকের বাসিন্দা দেবজ্যোতি বর্মন পেশায় আইনজীবী। বছর দশেক আগে মালদহের বাসিন্দা অর্পিতা শর্মার সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, দম্পতি বেশ সুখীই ছিলেন৷ সন্তানদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই দূরে দূরে বেড়াতে যেতেন ওই দম্পতি৷ বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিও করতে ভালবাসতেন তাঁরা৷ এছাড়া নামীদামি হোটেলে খেতে যেতেন৷ ‘সুখের’ সংসারের ছক পরিবর্তন হয় বুধবার৷ ওই দিন ছিল কালীপুজো৷ সন্ধ্যায় ছাদে মেয়েকে নিয়ে বাজি পোড়াচ্ছিলেন দেবজ্যোতি। তাঁর দাবি, অর্পিতা ছাদে না যাওয়ায় তাঁকে নিচে ডাকতে যান তিনি। শোয়ার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা খোলেননি অর্পিতা। তারপর তিনি এলাকায় কাঠের মিস্ত্রিকে খবর দেন। ছিটকিনি ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। দেখেন, অর্পিতা গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন। নিউ আলিপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ তাতে লেখা ছিল, ‘‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়৷’’ তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান আত্মঘাতী হয়েছেন অর্পিতা।
[ম্যানেজমেন্ট ছাত্রের মৃত্যুতে নয়া মোড়, জোরাল হচ্ছে আত্মহত্যার তত্ত্ব]
ওই মহিলার স্বামীর দাবি, বেশ কয়েকমাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর স্ত্রী৷ মনোবিদের কাছে যাওয়ার কথা বলেন দেবজ্যোতি৷ তবে অর্পিতা মনোবিদের কাছে যেতে রাজি হননি৷ মানসিক অবসাদের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই দাবি দেবজ্যোতির৷ যদিও মৃতার বাপেরবাড়ির দাবি, বিয়ের পর থেকেই অর্পিতার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতেন দেবজ্যোতি৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ অর্পিতার দাদার৷ নিউ আলিপুর থানায় দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি৷ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
The post শোয়ার ঘরের দরজা খুলতেই চোখ কপালে উঠল স্বামীর, এ কী করলেন স্ত্রী! appeared first on Sangbad Pratidin.