নন্দন দত্ত, সিউড়ি: আমেরিকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন নৃত্যশিল্পী অমরনাথ ঘোষ! রহস্যময় ফোন পেয়েই থানায় ছুটল তাঁর কাকা ও কাকিমা। সিউড়ি থানায় ওই ফোনের কথা জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
অমরনাথ ঘোষের কাকা শ্যামল ঘোষ এবং কাকিমা ভগবতী ঘোষ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অমরনাথের পিসি তাঁদের ফোন। তিনি দিল্লিতে থাকেন। সদ্যই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। ওই মহিলা জানান, অমরনাথের বন্ধু তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছে। তিনি জানান অমরনাথকে আমেরিকায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা খুন করেছে, কেনই বা খুন হলেন অমরনাথ, তা স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি। শুক্রবার সকালে ফের অমরনাথের খুড়তুতো বোনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ওই বন্ধুর। তিনি জানান, দেহ ফেরানোর জন্য পরিবারের কারও পরিচয়পত্র প্রয়োজন। আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই বন্ধু নাকি দাবি করেন, কোনও নথিপত্রের প্রয়োজন নেই। আমেরিকার তরফ থেকে দেহ সৎকারের বন্দোবস্ত করা হবে। এর পরই সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন নৃত্যশিল্পীর পরিবারের লোকজনেরা।
[আরও পড়ুন: ‘লুটের টাকা ফেরাতে হবে, মোদি ছাড়বে না,’ নিয়োগ থেকে রেশন দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর]
অমরনাথ ঘোষের কাকিমা জানান, চেন্নাইয়ে পড়াশোনার সময় ওই বন্ধুর সঙ্গে আলাপ হয় নৃত্যশিল্পীর। সুতরাং বেশ দীর্ঘদিনেরই বন্ধুত্ব। বছর দেড়েক আগে আমেরিকায় চলে যান অমরনাথ। তা সঙ্গেও বন্ধুত্বে ছেদ পড়েনি। মাঝে মাঝে ওই বন্ধু বীরভূমের সিউড়ির ডাঙ্গালপাড়ার বাড়িতে আসতেন। থাকতেনও। সেই বন্ধুর কাছ থেকেই দুঃসংবাদ পেয়ে কার্যত দিশাহারা তাঁর পরিবারের লোকজন। বছর ছত্রিশের অমরনাথ ঘোষ বীরভূমের সিউড়ির ডাঙ্গালপাড়ার বাসিন্দা। সেখানেই বেড়ে ওঠা তাঁর। ৬ বছর বয়সেই নাচে হাতেখড়ি অমরনাথের। রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং রবীন্দ্রনৃত্যকে দেশবিদেশে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রায় বছর দুয়েক ধরে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি সেন্ট লুইশের নৃত্যশিক্ষক হিসাবে কর্মরত। বন্ধুর তরফে তাঁর মৃত্যুসংবাদ পাওয়া গেলেও এখনও পর্যন্ত দূতাবাসের তরফে কোনও তথ্য পাননি অমরনাথের পরিজনরা। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আমেরিকার ব্যস্ত রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে নিহত ব্যক্তিই অমরনাথ ঘোষ কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।