সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রের উৎসব চলছে। দেশের ১৭টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ১০২টি আসনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। গরম উপেক্ষা করে গোটা দেশের মানুষ মহা উৎসাহে ভোট দিচ্ছেন। কমিশন (Election Commission) যা হিসাবে দিচ্ছে, তাতে ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটের হার এ পর্যন্ত সন্তোষজনক। ব্যতিক্রম শুধু নাগাল্যান্ড। উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যটির প্রায় ২০টি বিধানসভা এলাকায় ভোটের হার প্রায় শূন্য।
কেন? কারণ, পূর্ব নাগাল্যান্ডের প্রভাবশালী সংগঠন ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (ENPO) ওই এলাকায় ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। ENPO-র দীর্ঘদিনের দাবি, পূর্ব নাগাল্যান্ডের ২০টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে আলাদা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ফ্রন্টিয়র নাগাল্যান্ড টেরিটরি (FNT) তৈরি করতে হবে। ওই সংগঠন আগেই ঘোষণা করেছিল ভোট প্রক্রিয়া শুরুর আগে যদি কেন্দ্র ফ্রন্টিয়র নাগাল্যান্ড টেরিটরি তৈরির বিজ্ঞপ্তি না দেয়, তাহলে তারা ভোট বয়কট করবে।
[আরও পড়ুন: রুশ মিসাইল হামলায় ইউক্রেনে মৃত অন্তত ১৭! নিজেদের দুর্বলতা মানলেন জেলেনস্কি]
শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র ওই আলাদা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা গঠনের বিজ্ঞাপ্তি দেয়নি। সেই ক্ষোভেই বৃহস্পতিবার গোটা এলাকায় সম্পূর্ণ শাট ডাউনের দাবি তোলে ওই ENPO। তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে ওই এলাকার আমনাগরিক। ভোটের দিন গোটা পূর্ব নাগাল্যান্ডে কার্যত বনধের ছবি। ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না ভোটাররা। সার্বিকভাবে ভোট শুরুর পর ৬ ঘণ্টা সময় পেরলেও ২০টি জেলায় কার্যত কোনও ভোটই পড়েনি। ভোটের হার এখনও পর্যন্ত শূন্য।
[আরও পড়ুন: কেন ইজরায়েলকে আক্রমণ ইরানের? শুধুই কি আত্মরক্ষা নাকি নেপথ্যে অন্য কারণ?]
নাগাল্যান্ড দীর্ঘদিনের উপদ্রুত এলাকা। পৃথক 'নাগালিমে'র দাবিতে নাগাল্যান্ডের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কয়েক দশক ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে। গত বছরই নাগা সংগঠনগুলির সঙ্গে ঐতিহাসিক নাগা চুক্তি সই করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতেও নাগাল্যান্ডের পরিস্থিতি যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, সেটা ভোটের হারেই স্পষ্ট।