রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিজয়া সম্মিলনীর আগেই নন্দীগ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছেঁড়া এবং কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে রাজ্যের শাসকদল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
শনিবার সকালে দেখা যায় নন্দীগ্রামের (Nandigram) মহেশপুরে তৃণমূলের দলীয় পতাকা এবং ফ্লেক্স ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে এগুলি ছেঁড়া হয়েছে। বিজেপি এই কাজ করেছে বলেই অভিযোগ। প্রতিবাদে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মহেশপুর বাজার যাওয়ার পথ অবরোধ করেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস। তিনি বলেন, “বিজেপি বিনা প্ররোচনায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছে। দলের পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই আমাদের এই পথ অবরোধ।” যদিও গেরুয়া শিবির দলীয় পতাকা, ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
[আরও পড়ুন: অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মা ও মেয়ের মৃত্যু, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ, রণক্ষেত্র উলুবেড়িয়া]
আজ বিকেলে মহেশপুর বাজার সংলগ্ন মাঠেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছে বিজেপি। সেখানে থাকার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। তার প্রস্তুতিও তুঙ্গে। গত কয়েক দিন ধরেই গোটা এলাকায় বিজেপির পতাকা এবং ফেস্টুন লাগানো হয়। পদ্মশিবিরের দাবি, বিজয়া সম্মিলনীর আগে ইচ্ছা করে অশান্তি করছে তৃণমূল। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রণয় পাল বলেন, “তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি ক্রমশ সরে যাচ্ছে। নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, মহালয়ার (Mahalaya) পর থেকে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া ছাড়া বিজেপি নেতাদের জনসংযোগের আর কোনও কাজ ছিল না। অথচ উলটো দিকে পুজো কমিটিগুলিকে সামনে রেখে শাসক তৃণমূল পৌঁছে গিয়েছে প্রতিটি বাড়িতে, প্রতিটি পরিবারে। দলীয় কর্মীদের সেভাবে উজ্জীবিত করতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একাধিক নেতামন্ত্রীর গ্রেপ্তারির মতো ইস্যু হাতে পেয়েও বঙ্গ বিজেপি আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে পুজোর পর বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে বঙ্গ বিজেপি। কালীপুজোর পরে জেলায় জেলায় আইন অমান্য আন্দোলনের কর্মসূচি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আন্দোলন কীভাবে সংগঠিত করা হবে, তার নেতৃত্বে কোন কোন নেতা থাকবেন, এসব নিয়েই আলোচনা হচ্ছে পদ্ম শিবিরের অন্দরে।