সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামিন নাকি জেল? নারদ মামলায় ধৃত ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ আজ। মামলা অন্যত্র সরানো এবং জামিন স্থগিতের পুনর্বিবেচনার আরজি দুই বিষয় নিয়েই শুনানি হবে। এখনও পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। মঙ্লবার দুপুর থেকেই জ্বর তাঁর। দেওয়া হয়েছে প্যারাসিটামল। তবে হাসপাতালে ভরতি হতে নারাজ তিনি। সকালে প্রাতঃরাশও করেননি। এদিকে, এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন তৃণমূল ও বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
সোমবার দিনভর টানটান উত্তেজনা শেষে নাটকীয়ভাবে বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশের উপর বুধবার পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার সেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আরজি জানান হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। হাই কোর্ট সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের হয়ে এদিন প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারচুয়ালি সে সময় উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। প্রাথমিকভাবে তাঁরা নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ অনুমতি দিলে লিখিত পিটিশন দায়ের হয়। এছাড়াও সিবিআইয়ের আরজির সঙ্গেই এই মামলার শুনানির আবেদন জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সেই আবেদনেও সম্মতি দিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: উলঙ্গ হয়ে ঘুরছেন করোনা রোগী, হাসপাতালের অমানবিকতায় ক্ষুব্ধ পরিবার]
বুধবার স্বভাবতই নারদ কাণ্ডে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী ও দুই প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিনে মুক্তি ঘিরে হাই কোর্টের এই শুনানির দিকে তাকিয়ে রাজ্যের শাসক তৃণমূল শিবির। কারণ, রাজ্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দুই দপ্তর পঞ্চায়েত ও পরিবহণের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার করোনা মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজে যুক্ত আপাতত জেল হেফাজতে থাকা দুই মন্ত্রী। পালটা মামলায় নিজেদের বক্তব্য জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে সিবিআইও। কেন নারদ মামলা অন্য রাজ্যে তারা সরিয়ে নিয়ে যেতে চায় তার যাবতীয় তথ্য ও নিজাম প্যালেসে বিক্ষোভের প্রমাণও ভিডিও-সহ কেন্দ্রকে জানিয়েছেন সিবিআই কর্তারা। সিবিআইয়ের তৎপরতা ও হাই কোর্টে আরজির জেরে কলকাতায় জল্পনা বাড়ছে, রোজভ্যালি মামলা যেমন ভূবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেভাবেই কি নারদ মামলা গুয়াহাটি বা অন্যত্র সরছে? এদিকে, সোমবারের বিক্ষোভের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তাই সে বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন মদন মিত্রের স্ত্রী। করোনা কালে হাই কোর্টের সামনে অযথা ভিড় না করার কথা বলেছেন ফিরহাদ কন্যা প্রিয়দর্শিনী।