গোবিন্দ রায়: নারদ মামলায় (Narada case) অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ আরও বাড়ল রাজ্যের তিন হেভিওয়েট রাজনীতিবিদের। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিয়ে কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। এদিন আদালতে শোভনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বিশিষ্ট বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই মামলায় শোভনবাবু আইনি জটিলতায় জড়ানোর পর থেকেই বৈশাখীদেবী তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী। এদিন আদালতে এসেও ফের তা প্রমাণ করলেন প্রাক্তন অধ্যাপিকা। নারদ মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জানুয়ারি।
মে মাসের ১৭ তারিখ নারদ মামলায় তৃণমূলের তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ওইদিন চারজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরই নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দপ্তরের বাইরে ভিড় এত বেড়ে যায় যে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করে সেই ভিড় সামলাতে হয়। এই ঘটনাকে খুব একটা ভাল চোখে দেখেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের অভিযোগ, জনপ্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে চাপ তৈরি করছে দল। সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারের জন্য মামলাটি পেশ করা হয়। সেসব জট কাটিয়ে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান ৪ নেতা, মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: শহরের কোথায় কোথায় খোলা ম্যানহোল? তল্লাশির দায়িত্বে স্থানীয় থানা ও ট্রাফিক গার্ড]
এর মধ্যে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মৃত্যু হয় রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee)। ফলে এই মুহূর্তে নারদ মামলার মূল অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন ৩ জন। ইডির (ED) দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে তাঁরাই আজ গেলেন ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Bankshal Court)। এদিন প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ড এবং দেশের বাইরে না বেরনোর শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয়েছে। পাশাপাশি এই তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। সূত্রের খবর, এ মাসেই ত্রিপুরা যাওয়ার কথা ফিরহাদ হাকিমের। তা যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও আইনি জটিলতা রইল না। তবে আজ আদালতে হাজিরা দেননি এই মামলায় আরেক অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসা প্রাক্তন পুলিশকর্তা এসএমএইচ মির্জা। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র।