shono
Advertisement

একইরকম দুর্ঘটনা, মোদির ভাই অল্পে রক্ষা পেলেও কেন গুরুতর আহত পন্থ?

মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার পর খোঁজ নিয়েছেন দাদা নরেন্দ্র, জানালেন প্রহ্লাদ।
Posted: 01:07 PM Dec 31, 2022Updated: 03:50 PM Dec 31, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দিন আগে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মোদির ভাই প্রহ্লাদ মোদি (Prahlad Modi) ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গতকাল ভয়ংকর গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। উল্লেখ্য, দু’টি গাড়িই মার্সিডিজ বেঞ্জ ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু প্রহ্লাদ মোদি ও তাঁর পরিবার অল্প আহত হন। অন্যদিকে পন্থ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছেন। এমনটা কেন হল? প্রহ্লাদ অবশ্য জানিয়েছেন, মার্সিডিজ বেঞ্জের এয়ারব্যাগ ও সিটবেল্ট তাঁদের বাঁচিয়ে দিয়েছে। নচেত ভয়ংকর কিছু ঘটে যেতে পারত। এছাড়াও স্থানীয় মানুষ তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁরাই পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেন গোটা পরিবারটিকে।

Advertisement

গত মঙ্গলবার বান্দিপুরা যাওয়ার পথে কর্ণাটকের (Karnataka) মাইসুরুর কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে প্রহ্লাদ মোদির মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি। দুপুর ২টো নাগাদ কোনওভাবে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। এতেই গাড়ির সামনের অংশ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কমবেশি সকলেই আহত হন। আহত হন মোদির ভাই প্রহ্লাদ, তাঁর স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ। সবেচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে প্রহ্লাদের নাতি। তার পা ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, তাঁদের বড় চোট লাগেনি।

[আরও পড়ুন: রাহুলই ২০২৪-এ বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রিত্বের মুখ, হঠাৎই দাবি কমল নাথের]

শনিবারও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকলেই সুস্থ আছেন। এদিন প্রহ্লাদ মোদি জানান, দ্রুত তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সিটবেল্ট এবং গাড়ির এয়ারব্যাগ এবং স্থানীয় মানুষের তৎপরতা তাঁদের বাঁচিয়ে দিয়েছে।” দামি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি তাঁর বন্ধুর, তাও জানান প্রহ্লাদ। মোদির ভাই বলেন, “গাড়িটি আমার বন্ধু রাজাশেখরের। বান্দিপুরা ব্যাঘ্র উদ্যানে যাচ্ছিলাম। কী ভুল হয়েছিল জানি না। বিরাট গতিতেও ছিল না গাড়িটি।”

[আরও পড়ুন: এবার কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে প্রমীলা বাহিনী! কাশ্মীরে ইতিহাস গড়তে চলেছে CRPF]

প্রহ্লাদ জানান, দুর্ঘটনার সময় সিটবেল্ট বাঁধা ছিল সবারই। তার জন্য বেঁচে যান। এছাড়াও মুহূর্তে গাড়ির এয়ারব্যাগ খুলে যায়। এরপর স্থানীয় মানুষ এবং পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়। দুর্ঘটনার পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী, অর্থাৎ কিনা দাদা নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ফোন করেছিলেন, শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন, জানিয়েছেন প্রহ্লাদ। বলেন, “মঙ্গলবারই আমাকে ফোন করেছিলেন, আমরা কেমন আছি তার খোঁজ নেন। আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজন মতো যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে রুরকির কাছে ভয়ংকর পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ঋষভ পন্থ। তাঁর গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচে ভারতীয় তারকার। আপাতত দেরাদুনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ইতিমধ্যেই মস্তিষ্ক আর স্পাইনাল কর্ডের MRI হয়েছে তাঁর। রিপোর্ট স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক দফা প্লাস্টিক সার্জারিও হয়েছে। তবে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে দিল্লি আনা হতে পারে দিল্লিতে। এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার আধিকারিক। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement