নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পূর্ব পরিকল্পনা মতো তিথি নক্ষত্র মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থীপদে মনোনয়ন পত্র পেশ করলেন দ্রৌপদী মুর্মু। হিন্দি পঞ্জিকা মেনে ‘অভিজিৎ মুহূর্তে’ প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)।
হিন্দি পঞ্চাঙ্গ (পঞ্জিকা) অনুযায়ী এদিন সকাল ১১টা ৫৫ থেকে দুপুর ১২টা ৫১ পর্যন্ত অভিজিৎ মুহূর্ত ছিল। পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী যে কোনও কাজ শুরু করার জন্য এই সময় খুবই শুভ। এবং নামের মধ্যেই ‘জিৎ’ শব্দটি সফল হওয়ার বার্তা বহনকারী বলেই মনে করা হয়। দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিদিন ৪৮ মিনিট অভিজিৎ মুহূর্ত থাকে, তবে সময় ভিন্ন হয়। অবশ্য, বিবাহ বা উপনয়নের ক্ষেত্রে এই মুহূর্ত খাটে না। তিথি-নক্ষত্র ও পঞ্জিকা মেনে বিজেপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর্মসূচির নজির ভূরি ভূরি। যে কোনও বড় কাজের ক্ষেত্রে যা বিশেষভাবে পালন করা হয়। সেটা মেনেই এদিন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) মনোনয়ন পেশ করেছেন।
[আরও পড়ুন: ধোপে টিকল না পুনরায় তদন্তের আরজি, গুজরাট দাঙ্গা মামলায় মোদিকে ক্লিনচিট সুপ্রিম কোর্টের!]
রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে ৫০ জন প্রথম প্রস্তাবক ও ৫০ জন সমর্থনকারীকে দ্বিতীয় প্রস্তাবক থাকার নিয়ম রয়েছে। মুর্মুর প্রথম প্রস্তাবকের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নাম রয়েছে। নাম রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডারও। এছাড়াও একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ছিল প্রস্তাবকের তালিকায়। আসলে আগে থেকেই ঠিক ছিল দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়ন দাখিল প্রক্রিয়াকে শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসাবে তুলে ধরবে বিজেপি (BJP)। সেইমতোই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন দিল্লিতে ডাকা করা হয়েছিল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তলব পেয়ে উপস্থিতও হয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ, বাসবরাজ বোম্বাইরা।
[আরও পড়ুন: দ্রৌপদী পেয়েছিলেন Z+, যশবন্ত পেলেন Z ক্যাটাগরি! দুই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নিরাপত্তাতেও বৈষম্য কেন্দ্রের]
বস্তুত গেরুয়া শিবির মনে করছে, দ্রৌপদী যে জিতবেন তাতে কোনও সংশয় নেই। একে তো সংখ্যার বিচারে তাদের প্রার্থী বিপক্ষের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha) থেকে অনেক এগিয়ে। তার উপরে আবার বিরোধী শিবির ছন্নছাড়া। তবে বিজেপি শুধু জয়ে সন্তুষ্ট থাকতে রাজি নয়, তারা চাইছে রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে দ্রৌপদীর জয় নিশ্চিত করতে। সম্ভবত সেকারণেই বিরোধী শিবির থেকেও সমর্থন প্রার্থনা করছেন দ্রৌপদী। মনোনয়ন দেওয়ার দিনই বিরোধী শিবিরের দুই শীর্ষ নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, শরদ পওয়ার, এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে সমর্থন প্রার্থনা করেছেন তিনি।