সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সংসদ ভেঙেছিলেন। সর্বশক্তিমান হতে একের পর এক চক্রান্ত করছিলেন নেপালের ‘কেয়ার টেকার’ প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (KP Oli Sharma)। ফলে ক্রমাগত তাঁর বিরুদ্ধে জোরালো হচ্ছিল আন্দোলন। এবার সরাসরি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (Nepal Communist Party) থেকে বহিষ্কার করা হল কেপি শর্মা ওলিকে।
রবিবার নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দলের সেন্ট্রাল কমিটি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে কেপি শর্মা ওলিকে বহিষ্কার করল। তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও প্রত্যাহার করা হল। উল্লেখ্য, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি আগেই দেওয়া হয়েছিল। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়্যারম্যান পদ থেকেও।
[আরও পড়ুন : প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন ৪ বছরে রেকর্ড মিথ্যা বলেছেন ট্রাম্প! সংখ্যা কত জানেন?]
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির এক নেতা তথা ওলি বিরোধী মাধব কুমার পাল জানিয়েছিলেন, দলের চেয়্যারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার তিনি দলের নিয়ম ভেঙেছেন। এবার দলের ডিসিপ্লিনারি কমিটি ওঁর বিরুদ্ধে্ ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর কার্যকলাপের ব্যাখ্যা চেয়েছিল দল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি জবাব দেননি। এরপরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দল।
সাংবিধানিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করেই নেপালের নির্বাচিত সংসদ ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। নিজেকে দেশের সর্বশক্তিমান ব্যক্তি বানানোর জন্য সবরকম নোংরা রাজনীতির সাহায্য নিচ্ছেন। এই অভিযোগ তুলে দেশব্যাপী আন্দোলনে নেমেছেন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির একাংশের নেতা-কর্মী। আর তাঁদের এই বিক্ষোভকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারম্যান পুষ্পকুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড (Prachanda)। বিভিন্ন জনসভায় ওলির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। এবার দল থেকেই বহিষ্কার করা হল নেপালের কেয়ার টেকার প্রধানমন্ত্রীকে। এর পিছনেও প্রচণ্ডের কারিকুরি দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।