সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘লাভ জেহাদে’র বক্রোক্তি উপেক্ষা করেই ধুমধাম করে হয়েছিল বিয়ে। দিল্লির রিসেপশনে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। ছিলেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং তৎকালীন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। সারা দেশ স্বাগত জানিয়েছিল ভিন্ন ধর্মের এই IAS যুগলের ভালবাসার পরিণতিকে। স্বপ্নের সেই কাহিনি দু’বছরের বেশি টিকল না। ডিভোর্সের আরজি জানিয়ে রাজস্থানের ফ্যামিলি কোর্টে আবেদন জানালেন IAS দম্পতি টিনা ডাবি (Tina Dabi) ও তাঁর স্বামী আথর আমির খান (Athar Aamir Khan)।
২০১৫-র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী টিনা ডাবি। সেই পরীক্ষাতেই দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন কাশ্মীর নিবাসী আথর আমির খান। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এখন রাজস্থান ক্যাডারের IAS অফিসার। বিয়ের সময় টিনা জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে মে মাসে যখন তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়, সেখানে প্রথম আলাপ দুই কৃতীর। আথরই নাকি সোজা এসে টিনার দিল্লির বাড়িতে বেল বাজিয়েছিলেন। তারপর? মাস চারেকের মধ্যে প্রেম জমে ক্ষীর। বাধা হয়নি ধর্ম। দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনও বাধা আসেনি।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে ‘লাভ জেহাদ’ রুখতে নয়া আইন, তৎপর যোগী সরকার]
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে গাঁটছড়া বাঁধেন টিনা-আমির। সেই সময় কট্টরপন্থীদের রোষানলে পড়েছিলেন তাঁরা। লাভ জেহাদে’র অভিযোগ তোলা হয়েছিল। দক্ষিণপন্থী সমর্থকদের একাংশ আমিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, একজন দলিতকে ফুসলিয়ে বিয়ে করছে এক মুসলিম। কুরুচিকর আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি টিনাও। দলিত কোটা ব্যবহার করে পরীক্ষায় সুবিধা পেয়েছেন, এরকম অভিযোগও তোলেন কেউ কেউ। সেসময় এই বিরোধ IAS দম্পতির ভালবাসার প্রাসাদকে টলাতে পারেনি। কিন্তু সময়ের ফেরে তাতে ফাটল ধরেছে। কী এমন ঘটল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া সোশ্যাল মিডিয়া। কেউ কটাক্ষ করেছেন, কেউ আবার পাশে দাঁড়িয়ে ব্যক্তিগত মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছেন।