নব্যেন্দু হাজরা: শনি-রবি বন্ধ। সকাল নটায় শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটার আগেই পরিষেবা শেষ। তাও আবার ২০ মিনিট অন্তর মেট্রো।
নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোরুট (New Garia-Ruby Metro) নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে অফিসযাত্রী থেকে বাইপাস লাগোয়া বাসিন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, প্রায় দেড়বছর ধরে তৈরি হয়ে পড়ে ছিল এই মেট্রো। প্রধানমন্ত্রীর সময় না হওয়ায় চালু হয়নি। অথচ যখন চালু হল, তখনও দিনের ঘণ্টাকয়েকের জন্য। যেন জয়রাইড। হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড (Howrah Maidan-Esplanade Metro) গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোর প্রচারের চাপে চাপা পড়েছে বাইপাসের মেট্রো। অনেকেই বলছেন, এই রুট এখন যেন দুয়োরানি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের সব আকর্ষণ গঙ্গার তলার মেট্রো নিয়ে। যে কারণে এই রুট প্রচারও পাচ্ছে না। যাত্রীও হচ্ছে না। মেট্রোসূত্রে খবর, দিনে হাজারখানেক যাত্রীও হচ্ছে না এই রুটে। ফলে চিন্তিত মেট্রোকর্তারাও। তাঁদের দাবি, দুই মেট্রোর ব্যবধান কমলেই যাত্রী হয়তো বাড়বে। তাছাড়া রুবির বদলে নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অন্তত পরিষেবা চালু হলেই যাত্রী সংখ্যা কিছুটা বাড়বে। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর পুরো রুট হলে তো কথাই নেই। তাছাড়া কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোলিং সিস্টেম বা সিবিটিসি পদ্ধতিতে মেট্রো চালু হলে দুই মেট্রোর ব্যবধান অনেকটাই কমবে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে যাত্রী।
[আরও পড়ুন: শিয়রে লোকসভা নির্বাচন, ফের গ্যাসের দাম কমাল কেন্দ্র]
তবে এখন বিকেল পাঁচটার আগেই মেট্রো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই লাইনের ফায়দা তুলতে পারছেন না অফিসযাত্রীরা। শেষ মেট্রো বিকেল ৪টে ৪০ মিনিটে। তাঁদের বক্তব্য, সাধারণত অফিস ছুটির ভিড়টা যে সময় হয়, তখন মেট্রো বন্ধ হয়ে যায়। বাইপাস লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা মেট্রোয় চড়বেন বলে ঠিক করলেও তার উপায় থাকে না। সকালেও এত দেরিতে শুরু হয়, পরিষেবা যে যাত্রীরাও অফিস যাওয়ার জন্য এই মেট্রো ব্যবহার করার কথা মাথায় আনেন না। আর শনি-রবিতে তো বন্ধই। ফলে ছুটির দিনে বেড়াতে যাওয়ার জন্যও এই মেট্রো অচল। যা পরিস্থিতি তাতে বাইপাস লাগোয়া স্কুলে ছুটির পর পড়ুয়াদের একাংশ এবং অভিভাবকরা মেট্রোসফর করছেন। আর ওই চত্বরের হাসপাতালের কর্মীরা প্রথম শিফট ছুটির পর কেউ কেউ মেট্রোয় চড়ছেন। প্রত্যেকেরই বক্তব্য, অন্তত রাত আটটা পর্যন্ত এই লাইনে মেট্রো পরিষেবা দেওয়া দরকার। না হলে এরকম কিছুক্ষণের জন্য মেট্রো চালু করার কোনও মানে হয় না। এতে যাত্রীদেরও কোনও লাভ নেই।