নিরুফা খাতুন: সকালে ট্যাংরায় (Tangra) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। প্রাথমিকভাবে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন ধরা ও সেই সময় শাটারে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার তথ্য সামনে এসেছে। তা সত্ত্বেও উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে নাকি হুকিং করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন যুবক? কোথা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছিল ওই দোকানে? এ প্রশ্ন থাকছেই। পুরসভার প্রাথমিক তদন্তে হুকিংয়ের তথ্য সামনে এসেছে বলে জানালেন মেয়র পরিষদ (আলো) সন্দীপরঞ্জন বক্সী।
কলকাতা পুরসভার আলো বিভাগের ডিজি সঞ্জয় ভৌমিক আলো বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে এদিন ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিক তদন্তে বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার বাতিস্তম্ভকে ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল দোকানের খুঁটি। কার অনুমতিতে এই খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুরসভার বাতিস্তম্ভ সকাল ছ’টা থেকেই আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলত জয়েন্ট বক্সে হুকিং করতে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
[আরও পড়ুন: লোহার রড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কীভাবে ঢুকল হাফিজুল? তদন্তে SIT গঠন]
হরিদেবপুর, রাজাবাজার ও ট্যাংরা কাণ্ডের পর কলকাতা পুরসভা আলো বিভাগের তরফে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মেয়র পরিষদ (আলো) বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছেন। প্রতি বরোতে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করার। কলকাতা পুরসভা যেমন তদন্ত করছে, তেমনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুরসভার বিরোধী বাম কাউন্সিলাররা। মেয়র পরিষদ আলো সন্দীপরঞ্জন বকশির কাছে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দেন। একই সঙ্গে স্মারকলিপি জমা দেন অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও।এদিন মূলত তিনটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।
★প্রত্যেকটি বাতিস্তম্ভে আর্থিং করতে হবে।
★যত্রতত্র বাতিস্তম্ভের উপর দিয়ে তার গুলোকে সরিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
★প্রতি এলাকায় নজরদারি বাড়াতে হবে। নজরদারি কমিটি তৈরি করতে হবে।
অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিওমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “এই মৃত্যুর ঘটনার দায় এড়াতে পারে না পুরসভা। গাফিলতি স্পষ্ট সিইএসসি কর্তৃপক্ষের। অথচ একে অপরের দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ পালটা অভিযোগ করছেন। কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব পুরসভা ও সিইএসসি কর্তৃপক্ষের একে অপরের ঘাড়ে দোষ দেওয়ার তীব্র কটাক্ষ করেন। সিইএসসি এবং পুরসভা একে অন্যের ঘরে দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। পুরসভার গাফিলতি রয়েছে। কাউন্সিলরদের নজরদারি বাড়াতে হবে। সিইএসসি কর্তৃপক্ষের ও হুকিং হচ্ছে কিনা নজরদারি অভাব রয়েছে।