স্টাফ রিপোর্টার: কমেছে দত্তক নেওয়ার সময় ও খরচ। ফলে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের (Zoological Garden, Alipore) দত্তক নিতে এখন শিশুরা বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে। বিশেষ করে পাখি দত্তক নিতে বেশী আগ্রহী তারা। ভিন রাজ্য থেকেও শিশুরা পাখি দত্তক নিতে চেয়ে আবেদন করছে, এমনটাই খবর।
বরাবরই আর্থিক চুক্তিতে সাধারণ মানুষ চিড়িয়াখানার পশুপাখি দত্তক নিতে পারেন। আগে চিড়িয়াখানার সদস্যদের দত্তক নিতে হলে কমপক্ষে এক বছর আর্থিক খরচভার বহন করতে হত। এ বছর থেকে মাসিক চুক্তিতে দত্তক প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। অনেক পশুপাখির দামও কমানো হয়েছে। যে কারণে এখন স্কুলপড়ুয়ারাও দত্তক নিতে এগিয়ে আসছে।
[আরও পড়ুন: ‘আগেরবার ভুল হয়েছিল, এবার ভোট হবে’, গত পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ‘ভুল’ স্বীকার অনুব্রতর]
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানান, বড়দের সঙ্গে স্কুলপড়ুয়ারাও এখন দত্তক নিতে এগিয়ে আসছেন। ছোটরা বেশি পাখি দত্তক নিতে চাইছে। গত দু’মাসে দুটি পাখি দত্তক নিয়েছে দুই শিশু। এক বছরের চুক্তিতে তারা দত্তক নিয়েছে। পাখি দত্তক নিতে আরও অনেক পড়ুয়া ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ভিন রাজ্য থেকেও শিশুরা আবেদন করছে। অনেকের সঙ্গে দত্তক প্রক্রিয়া নিয়ে কথাও চলছে।
গত সেপ্টেম্বরে কলকাতার এক স্কুলপড়ুয়া ঋষিকা সরকার এক বছরের জন্য ম্যাকাও দত্তক নিয়েছে। অক্টোবরে মুম্বইয়ের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ দত্ত (১৩) এক বছরের জন্য একটি অস্ট্রেলিয়ান টিয়াপাখি দত্তক নিয়েছে। গত আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় ১০টি প্রাণী দত্তক দেওয়া হয়েছে। এগুলি হল অ্যানাকোন্ডা, মেছো বিড়াল, প্যাঙ্গোলিন, কালো হরিণ, ম্যান্ডারিন হাঁস, পেঁচা, ম্যাকাও এবং অস্ট্রেলিয়ান টিয়াপাখি, গিরগিটি এবং হায়েনা।