সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চম দফার বৈঠকও নিষ্ফলা। কৃষি আইন নিয়ে কোনও সমাধানে আসতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকার। তাই ৯ ডিসেম্বর কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। শনিবার বৈঠক শেষে এমনটাই জানালেন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এদিন সকালে বিজ্ঞান ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন দুপক্ষ। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। এদিকে আইন সংশোধন করার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে এদিন আলোচনায় কোনও রফাসূত্র মিলল না।
[আরও পড়ুন : কৃষক আন্দোলনের মঞ্চে হিন্দুদের অসম্মান, যুবরাজের বাবার গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব নেটদুনিয়া]
কৃষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার লিখিত আকারে একটি প্রস্তাব চাষিদের পাঠাবে। তা নিয়ে ৯ তারিখ সকালে নিজেদের মধ্যেই আলোচনা করবেন তাঁরা। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা।
এদিন কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একদফা বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ঘণ্টাখানেক বৈঠকের পর বিজ্ঞান ভবনে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রায় চার ঘণ্টা সেই বৈঠক চলে। এদিকে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনও (Farmer’s Protest) চলতে থাকে।
[আরও পড়ুন : পঞ্চমদফা আলোচনায়ও বরফ গলল না? বৈঠকে নিজেদের আনা খাবারই খেলেন কৃষকরা]
বৈঠকের মাঝে ওয়াক আউটেরও হুঁশিয়ারি দেন কৃষক প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি ছিল, “আর আলোচনা চাই না। সরকার দাবি মানবে কি না তা সাফ জানিয়ে দিক।” যতদিন সরকার না মানবে ততদিন রাস্তায় থাকারও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। পালটা শিশু ও বয়স্কদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার আরজি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তাঁদের সমস্ত কথাও কেন্দ্র সরকার শুনতে রাজি বলেও জানান। তাতেও চিড়ে ভেজেনি। কৃষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়, তাঁদের দাবি না মানলে চাষাবাদের কাজ শুরু করবেন না তাঁরা। অবশেষে ফের এক দফা আলোচনার সিদ্ধান্তে আসে দুপক্ষই।
কৃষক সংগঠেনর তরফে জানানো হয়েছে, এমএসপি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইন সংশোধনী নিয়েও কথা হয়েছে। কেন্দ্র রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে নয়া প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করবে। সে খসড়া কৃষকদের পাঠানো হবে। তবে আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় চাষিরা।