বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে ঘুরপথে ফের রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে চিন্তন শিবিরের প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ঘোষণা করেছেন, আগামী দু’বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি রাজ্যে জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) শাখা খোলা হবে।
এনআইএকে কোনও এলাকায় তদন্তে সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে না। উলটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে তার থেকেও বেশি অধিকার দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে গিয়েও তদন্ত করতে পারবে এনআইএ। সে জন্য রাজ্যের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আর এখানেই আপত্তি বিভিন্ন বিরোধী দলের। তাদের বক্তব্য, আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। অথচ, ঘুরপথে তা লঙ্ঘন করছে কেন্দ্র। এদিন শাহ আরও জানান, খুব শীঘ্রই সংসদে ফৌজদারি কার্যবিধি (CRPC) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) নতুন খসড়া আনার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
[আরও পড়ুন: ভাইফোঁটায় নয়া সমীকরণ? ৬ বছর পর ফোঁটা নিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মুকুল, গেলেন শোভন-বৈশাখীও]
পাশাপাশি, প্রতিটি রাজ্যকে ন্যাশনাল ফরেনসিক কলেজ খোলার কথাও বলা হয়েছে। পিএফআইয়ের মতো ‘শিখ ফর জাস্টিস’ (SKJ) সংগঠনের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। NIA’র এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলনেত্রীই যা বলার বলবেন। তবে এভাবেই বারবার কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো না মেনে পিছনের দরজা দিয়ে রাজ্যের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ঝালদায় ইস্তফা তৃণমূল কাউন্সিলরের, দলবদলের অঙ্কে শাসকদলের হাতছাড়া আরও ১ পুরসভা?]
‘চিন্তন শিবিরে’র উদ্বোধনী অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। এক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য এনআইএ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। সারা দেশে একটি সন্ত্রাসবিরোধী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।