সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার ছক কষছে ‘ভারতীয় আল কায়দা’। শিকড় ছড়াচ্ছে ‘তেহরিক-ই-তালিবান’ও। দেশের যুবকদের মগজধোলাই করে জেহাদের বিষ ছড়ানোর কাজ করছে তারা। তবে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেশের একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
শুক্রবার এনআইএ জানিয়েছে, গতকাল মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে অভিযান চালানো হয়েছে। সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু মোবাইল, ল্যাপটপ-সহ আপত্তিজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া গেজেটগুলির মদতে ‘টেরর সেল’গুলির অন্যান্য সদস্য ও গোপন ডেরার সন্ধান চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় যুবকদের মগজধোলাই করে জেহাদের বিষ ছড়ানোর কাজ করছে ‘ভারতীয় আল কায়দা’ ও ‘তেহরিক-ই-তালিবান’। বলে রাখা ভাল, ২০২৩ সালে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। সেই তদন্তসূত্রেই এদিনের অভিযান।
[আরও পড়ুন: ‘দুঃসময় কাটিয়ে উঠেছে মণিপুর’, অশান্তির মাঝেই দাবি অসম রাইফেলসের]
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি একাধিক রিপোর্ট বলেছে, ভারতে ‘লোন উলফ’ হামলার পরিকল্পনা করছে ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ (AQIS) বা ‘ভারতীয় আল কায়দা’। ‘লোন উলফ’ মানে একাকী শিকারি। এই পদ্ধতিতে কোনও ব্যক্তি বিশেষকে মগজ ধোলাই করে একা আত্মঘাতী হামলা চালাতে উৎসাহী করে তোলা হয়। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সরাসরি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে কোন যোগ থাকে না। ইন্টারনেট বা জিহাদি বইপত্রের মাধ্যমে তার মধ্যে পরোক্ষে ধর্মীয় উন্মাদনা জাগিয়ে তোলা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ‘লোন উলফ’ হামলাকারীকে খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। কারণ জঙ্গি সংগঠনগুলির উপর নিয়মিত নজর রাখেন গোয়েন্দারা। তবে মগজ ধোলাইয়ের জেরে নিজের বাড়িতে বসে ইন্টারনেটে জেহাদি ওয়েবসাইট দেখে কেউ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করলে তা রুখে দেওয়া খুব কঠিন।