সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার ফের দেশজুড়ে পিএফআইয়ের (PFI) নানা দপ্তরে তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ (NIA)। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে আটক করা হয়েছে সমাজকর্মী শাহিন কওসরকে। শাহিনবাগে সিএএ (CAA) বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, অসম, উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গায় তল্লাশি চলছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে দিল্লির একাংশে।
এনআইএ-র তল্লাশি শুরু হওয়ার পরেই বিশেষ বৈঠক ডেকেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। ইতিমধ্যেই রাজধানীর নানা অংশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় আগামী দু’মাস সমস্ত রকম প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকেই পিএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যেই উল্লেখযোগ্য নাম শাহিন কওসর। পিএফআইয়ের মহিলা শাখার সঙ্গে শাহিনের দীর্ঘদিনের যোগাযোগ রয়েছে, এই অভিযোগেই তাঁকে আটক করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধ, গেহলটে ক্ষুব্ধ সোনিয়া, সভাপতি পদে লড়াইয়ে কি এগিয়ে কমলনাথ?]
অন্যদিকে, অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডও আসরে নেমেছে। সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গুজরাটের দশজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বরও দেশজুড়ে পিএফআইয়ের ডেরায় তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ ও ইডি। সেইদিনও প্রচুর পিএফআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর থেকেই এই সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পিএফআইকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করতে চাইছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আপাতত ইউএপিএ আইনকে কাজে লাগানোর সবরকম চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার পরে যেন কোনওভাবেই আইনের ধারা উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে না পারে। নিষিদ্ধ করার পরে যদি আইনি লড়াইয়ে যেতে হয়, সেরকম প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হচ্ছে সরকারের তরফে। পিএফআইকে যদি জঙ্গি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করা হয়, তাহলে আল কায়দা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনের সঙ্গে একাসনে বসে যাবে এই সংগঠন।
[আরও পড়ুন: পুজোয় জাতীয় সড়কের নিরাপত্তায় জোর হাই কোর্টের, দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশকে সতর্কতার নির্দেশ]