সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করাতে এনআইকে তালিকা দিয়েছে বিজেপি। X হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ট্যাগ করে বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। পালটা খোঁচা বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের।
কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দাবি, ২ জন বিজেপি নেতা নিউটাউনে এসপি ডি আর সিংয়ের বাসভবনে গোপন বৈঠক করেন। নিজাম প্যালেসেও তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতারা। একটি তালিকা দেওয়া হয়। কোন কোন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করতে হবে, কাকে তলব করতে হবে, সে সম্পর্কিত একটি তালিকা দেওয়া হয়। এনআইএ-কে ট্যাগ করে এই তথ্য আদৌ সত্য নাকি মিথ্যা, সে প্রশ্ন করেন কুণাল। তাঁর আরও দাবি, আগামিকাল (শনিবার) এনআইএ তল্লাশি করবে। বিজেপির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে শহরে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, চেতলায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানা]
ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি, সে অভিযোগ আগেও করেছে তৃণমূল। শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনে এই ইস্যুতে নালিশও জানিয়েছেন তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি। ভোটের মুখে মহুয়া মৈত্রর কলকাতা এবং কৃষ্ণনগরের চার ঠিকানায় তল্লাশি, হাজিরার নোটিস রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দাবি তৃণমূলের। সুকৌশলে ভোট প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি। দিনকয়েক আগে কৃষ্ণনগরের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে গ্রেপ্তারির আশঙ্কা প্রকাশও করেছিলেন কুণাল ঘোষ।
আর তার পর ভোটের মুখে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তারির তালিকা তৈরি করে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতার। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "এতদিন তো বলতেন শুভেন্দু, সুকান্ত নির্দেশ দিত। আর তার পর তল্লাশি হত বলত। ভাঙা রেকর্ডের মতো বাজাত। তাহলে এখন শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন? সুকান্তর সঙ্গে চা খেয়েছেন? নাকি তিনজনে মিলে গিয়েছেন? ব্যাপার বোঝা যাচ্ছে না। কুণাল ঘোষ একজন সাংবাদিক। বিভিন্ন জায়গার খবরাখবর রাখেন। জেনেশুনেই নিশ্চয়ই বলেছেন। অভিনন্দন।" আগামিকাল কি হয়, সেটাই এখন দেখার।