সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্ষের মধ্যেই ভূত! এবার জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা’র সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে নিজেদেরই এক প্রাক্তন আধিকারিককে গ্রেপ্তার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।
[আরও পড়ুন: ইসলামে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়, বিতর্কের মধ্যেই আদালতে জানাল কর্ণাটকের বিজেপি সরকার]
শুক্রবার নয়াদিল্লি থেকে আইপিএস অফিসার অরবিন্দ দিগ্বিজয় নেগিকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থাটির প্রাক্তন এসপি ছিলেন ওই আধিকারিক। এক সময় জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত ছিলেন তিনি। হুরিয়ত কনফারেন্স নেতাদের আর্থিক লেনদেন ও জঙ্গিযোগ নিয়েও তদন্ত করেছিলেন তিনি বলে সূত্রের খবর। অভিযোগ, এনআইএ-র সঙ্গে কাজ করার সময় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার হাতে বেশ কিছু গোপন নথি তুলে দিয়েছিলেন নেগি। পাশাপাশি পাকিস্তানের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাতেও তিনি তথ্য পাচার করতেন বলে জানা গিয়েছে।
ওই তথ্যপাচারের ঘটনায় এর আগে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। ঘটনার তদন্তে নেমে নেগির বিতর্কিত ভূমিকার কথা জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এনআইএ-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, নেগির ভূমিকা ইতিমধ্যেই যাচাই করে দেখা হয়েছে। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। একজন সৎ এবং সাহসী অফিসার হিসাবেই নেগি পরিচিত পুলিশ মহলে। ২০১৭ সালে পুলিশ মেডেল পেয়েছেন তিনি। সাহসিকতার জন্যে তাঁকে সম্মানিত করেছিল ভারত সরকার। তাই এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে অস্বস্তি।
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত ৩০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয় পাঁচ জঙ্গি। নিহত জেহাদিদের মধ্যে ছিল পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার জাহিদ ওয়ানি। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির লাগাতার অভিযানের ফলে কাশ্মীরে জেহাদি সংগঠনগুলির কোমর কার্যত ভেঙে গিয়েছে। দেশের বড় শহরগুলিতে নাশকতার একাধিক ছক বানচাল করেছে এনআইএ-র মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে সংস্থার অন্দরে জঙ্গিদের চর থাকার অভিযোগ নিরাপত্তামহলে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে।