অর্ণব আইচ: কয়লা ও গরু পাচার মামলাই নয়, এবার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার মামলাতেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে পড়তে চলেছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেন। বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় অনুব্রত ও সায়গলকে দিল্লির তিহাড় জেলে গিয়ে জেরার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল NIA. সেই অনুমোদন মিলেছে বলে খবর। যত দ্রুত সম্ভবত NIA আধিকারিকরা তিহাড় জেলে (Tihar Jail) গিয়ে জেরা শুরু করবেন বলে সূত্রের খবর।
এর আগে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে ৮১ ডিটোনেটর উদ্ধারের ঘটনায় NIA স্ক্যানারে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সূত্রে খবর, বিস্ফোরক (Explosive) উদ্ধারে ধৃতদের জেরা করে তাঁদের নাম পাওয়া গিয়েছিল। তাদের বয়ানের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের ধারণা, অনুব্রতদের মদতেই জিলেটিন স্টিক মজুত করা হচ্ছিল জেলায়। এই মামলায় মোট তিনটি চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ১২ হাজার পাতার চার্জশিটের একাধিক জায়গায় অনুব্রতর নাম উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই সূত্রেই তাঁদের জেরা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ১১ মাসে ২৮ বার! এবার কোটায় আত্মঘাতী বাংলার পড়ুয়া]
সূত্রের খবর, সায়গল হোসেনকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবেদন জানায় NIA.সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তিহাড় জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করা হবে। তার পর জেরার মুখে পড়বেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারও আগে দিল্লিতে গ্রেপ্তার হন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেন। প্রথমে আসানসোল সিবিআই জেলে রাখা হলেও পরে তদন্তের স্বার্থে দিল্লির তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রয়েছেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাও।