সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৬ সালে বিহারের (Bihar) গোপালগঞ্জে বিষমদ কাণ্ডে অবশেষে রায় দিল আদালত। বিশেষ আবগারি আদালত ওই ঘটনায় মোট ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ অপরাধীকে ফাঁসির (Capital punishment) সাজা শুনিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ৪ জন মহিলাকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা।
২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণার পরে প্রথম বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গোপালগঞ্জে। সেবছরেরই ১৫ ও ১৬ আগস্ট মোট ২১ জনের মৃত্যু হয়। দৃষ্টিশক্তি হারান অনেকে। গোটা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল ওই ঘটনায়। অবশেষে শুক্রবার এই রায় দিল আদালত। যে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: একধাক্কায় ৩ গুণ হল রেলের প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম, ‘ভিড় এড়াতে’ সিদ্ধান্ত মন্ত্রকের]
শুক্রবার অপরাধীদের সাজা শোনানোর পরে তাদের কড়া নিরাপত্তায় জেলে ফেরত পাঠানো হয়। এই প্রথম বিহারে বিষমদ কাণ্ডে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল কিংবা মহিলাদের যাবজ্জীবনের সাজা শোনানো হল। গত বছর এই মামলাতেই দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ২১ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজন সাব ইন্সপেক্টর। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের নির্বাচনে নীতীশ কুমারের অন্যতম নির্বাচনী হাতিয়ার ছিল রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি। ক্ষমতায় এসে কথাও রাখেন নীতীশ। ২০১৬ সালের এপ্রিলে সব ধরনের মদ বিক্রি ও মদ্যপান নিষিদ্ধ হয় বিহারে। অভিযোগ, এরপর থেকেই মদের চোরাচালান লাফিয়ে বাড়তে থাকে রাজ্যে। পরের বছর ২০১৭ সালে ঘটে যায় গোপালগঞ্জের ঘটনাটি।