সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক্সিট পোলের সব হিসেব এলোমেলো করে দিয়ে বিহারে (Bihar Election 2020) প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে এনডিএ। কিন্তু গতকাল থেকেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। প্রশাসনের বিরুদ্ধে গণনাতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগও উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধেতেই আরজেডি (RJD) দাবি করে, মহাজোটের ১১৯ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তাঁদের নাম নাকি কমিশনের ওয়েবসাইটেও রয়েছে! কিন্তু অনেককেই জয়ীর শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগকে সমর্থন জানায় কংগ্রেসও।
এরই মধ্যে সবচেয়ে সাংঘাতিক অভিযোগ উঠেছে হিলসা কেন্দ্রকে ঘিরে। আরজেডির দাবি, ওই কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী শক্তি সিং জিতে যাওয়া সত্ত্বেও নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) নির্দেশে রিটার্নিং অফিসার দুর্নীতি করে জেডিইউকেই জয়ী ঘোষণা করেছেন। ঠিক কী বলছে আরজেডি? তেজস্বী যাদবের দল টুইট করে অভিযোগ জানিয়েছে, ওই কেন্দ্রে আসলে জয়ী হয়েছেন তাদের প্রার্থীই। রিটার্নিং অফিসার প্রাথমিকভাবে জানিয়েও দিয়েছিলেন ৫৪৭ ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। কিন্তু আচমকাই তাঁর কাছে ফোন আসে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। তারপরই রাতারাতি ভোল বদলে যায় ওই অফিসারের। বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জেডিইউ প্রার্থীকে। বলা হয়, পোস্টাল ব্যালট বাতিল হওয়ার কারণেই ফলাফলে এই আমূল বদল।
[আরও পড়ুন: বিহারের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে ছাপিয়ে গেল মোদি ম্যাজিক! ফ্যাক্টর মহিলা ভোটাররা]
পাশাপাশি আরজেডি আরও একটি টুইট করে অভিযোগ জানায়, প্রায় দশটি কেন্দ্রে গণনার গতি ধীর করা হয়েছে নীতীশ কুমারের সরকারের নির্দেশে। দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেটও। সমস্ত রিটার্নিং অফিসার ও জেলাশাসকদের ফোন করে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কেন্দ্রগুলিতে ফলাফলে প্রভাব খাটাচ্ছেন নীতীশ কুমার ও সুশীল মোদি। তারা ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানায়, গণতন্ত্রে এমন লুঠতরাজ মেনে নেওয়া হবে না।
এমন অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ফলাফল সম্পূর্ণ প্রকাশের আগেই মঙ্গলবার রাত দশটায় সাংবাদিক সম্মেলনে কমিশনের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, তাদের উপরে কোনও রকম চাপ নেই। আরজেডির ১১৯ জন প্রার্থীর জয়ের দাবিকে কার্যত উড়িয়ে কমিশন জানায়, তখনও পর্যন্ত মাত্র ১৪৬টি আসনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষিত হয়েছে।