shono
Advertisement

ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’, দুই রাজ্যকে সর্বত সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দুই রাজ্য।
Posted: 02:57 PM Nov 24, 2020Updated: 02:57 PM Nov 24, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে একের পর বিপদের মুখে পড়ছে গোটা দেশ। মহামারী আবহে ধেয়ে আসছে আরও এক ঘূর্ণিঝড়। যা বুধবার সন্ধেয় মামল্লপুরম এবং কারাইকালের মধ্যে দিয়ে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে আছড়ে পড়তে চলেছে। এই ভয়াবহ দুর্যোগে তামিলনাড়ু (Tamilnadu) ও পুদুচেরি (Puducherry) প্রশাসনের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন টুইট করে সে কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার বেগে দক্ষিণের দুই এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় নিভার (Nivar)। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ‘নিভার’ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে। আপাতত উত্তর-পশ্চিম চেন্নাই থেকে সেটির দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। সতর্কমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন : সুযোগ হচ্ছে না মেধাবিদের, উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন মাদ্রাজ হাই কোর্টের]

এদিকে বেলা বাড়তেই দু’রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত চলছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি। মঙ্গলবার রাত ন’টা থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত পুদুচেরিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ফলে সেখানকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দুধ, পেট্রল পাম্পের মতো জরুরি পরিষেবা মিলবে বলে খবর।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তামিলনাড়ু ও পুদুচেরীর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দুই রাজ্যকে সবরকমভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি সকলকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন।

[আরও পড়ুন : ‘ক্রোনোলজিটা বুঝুন’, টাটা-আম্বানিদের ব্যাংক খোলায় ছাড় দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ রাহুলের]

ইতিমধ্যে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দুই রাজ্য। পুদুকোট্টাই, ভিল্লুপুরমের মতো জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একাধিক দল পাঠানো হয়েছে। চেন্নাইয়ে এনডিআরএফের দু’টি এবং মাদুরাইয়ে একটি দল তৈরি আছে। প্রয়োজনে সেই দলগুলিকেও বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতে পারে।

এদিকে চেন্নাইয়ে ৮০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় কয়েকটি ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ রেল। বেসরকারি বাস-সহ সাতটি জেলায় আন্তঃরাজ্য এবং অন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। চেন্নাইয়ে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (নিট) কাউন্সেলিং পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement