সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনেই দেশবাসীর জন্য সুখবর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা মোকাবিলায় অক্সফোর্ডের (Oxford) ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড (CoviShield) প্রথম পায় সরকারি ছাড়পত্র। তারপর সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) কোভ্যাকসিনকে (Covaxin) দেওয়া হয় ছাড়পত্র।
দেশবাসীর স্বার্থে এই দুটি ভ্যাকসিনের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার, এমন খবরও শোনা যাচ্ছিল কানাঘুষোয়। সেই গুজবে জল ঢেলে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhusan) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে ভ্যাকসিন নিয়ে এই ধরনের কোনও নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তই নেয়নি সরকার। এই মর্মে ভারত বায়োটেক ও সেরামের একটি যৌথ বিবৃতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ভ্যাকসিন দুটিই মানবজাতির স্বার্থে ও কল্যাণে ব্যবহার করা হবে। ভারত সহ সারা পৃথিবীর কাছে তাঁদের ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে এই দুই সংস্থাই বদ্ধপরিকর। কাজেই এই বিবৃতি থেকেই পরিষ্কার যে সরকার বা ভ্যাকসিন নির্মাতা কেউই এই ভ্যাকসিন রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পক্ষপাতী নয়।
[আরও পড়ুন: মেহবুবা মুফতির ঘর সাজাতে ছ’মাসে সরকারের ৮২ লক্ষ টাকা খরচ! ফাঁস RTI-এ]
এক যৌথ বিবৃতিতে সেরামের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawala) ও ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এল্লা (Krishna Ella) ঘোষণা করেন যে তাঁরা তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন ভারত-সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এও জানান যে এই মুহূর্তে তাঁদের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ গোটা বিশ্বে কোভিড-১৯ (COVID-19) মহামারীতে মৃত্যুমিছিল রোধ করা ও মানবজাতীকে রক্ষা করা।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হতে পারে করোনার টিকাকরণ]
তবে এরই মধ্যে ভারত বায়টেকের কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয় বেশ কিছু মহল থেকে। বলা হয়, কোভ্যাকসিনকে খুব তাড়াহুড়ো করে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এর প্রতিবাদে ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান কৃষ্ণা এল্লাকে সরব হতেও দেখা যায়। এই সংক্রান্ত সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে দেন তিনি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে টিকাকরনের প্রক্রিয়া। তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে সব রকমের প্রস্তুতি।