সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ বাতিল মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলল সংসদের সচিবালয়। আইনসভার অভ্যন্তরীণ কাজে শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কার্যত স্পষ্ট করে দিল সংসদ ভবন।
লোকসভায় (Lok Sabha) টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে তৃণমূলের সাংসদকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। এমনকী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি তাঁকে। এর পরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মহুয়া। বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি অভিযোগ করেছিলেন, এথিক্স কমিটি একতরফা ভাবে রিপোর্ট তৈরি করেছে। মহুয়ার বক্তব্য শোনা হয়নি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই জবাবদিহি চেয়ে লোকসভার সচিবালয়কে নোটিস দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: সেলা টানেলে বেজায় চিন্তিত চিন, ফের অরুণাচল নিয়ে দন্তবিস্তার ‘ড্রাগনে’র]
শীর্ষ আদালত জবাব দেওয়ার জন্য সংসদের সচিবালয়কে ২ সপ্তাহ সময় দেয়। কিন্তু সেই সময়সীমার মধ্যে কোনও জবাব দেয়নি সংসদের সচিবালয়। সেই সময়সীমারও দেড় মাস পরে গিয়ে সংসদের সচিবালয় জানাল, সংবিধানের ১২২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনসভার অভ্যন্তরীণ কার্যপদ্ধতিতে বিচারবিভাগ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চকে সংসদের সচিবালয়ের তরফে বলা হল, ভারতীয় সংবিধানে আইনসভা এবং বিচারবিভাগের ক্ষমতা এবং এক্তিয়ারের যে সুস্পষ্ট বিভাজন রয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তার পরিপন্থী।
[আরও পড়ুন: পোর্টালে নাগরিকত্বের আবেদন আজ থেকে, জেনে নিন লাগবে কোন কোন নথি]
শেষ পর্যন্ত সংসদ যদি সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) মহুয়া সম্পর্কিত তথ্য না দেয়, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ ফিরে পাওয়া কঠিন। অবশ্য তৃণমূল ফের নিজেদের দাপুটে নেত্রীকে লোকসভার টিকিট দিয়েছে। নিজের পুরনো কেন্দ্র কৃষ্ণনগর থেকেই লড়ছেন তিনি।