shono
Advertisement

Breaking News

এই গ্রামে ঋতুমতী অবস্থায় স্কুলে যেতে মানা কিশোরীদের

কেন এমন আজব নিয়ম জারি রয়েছে এখনও? The post এই গ্রামে ঋতুমতী অবস্থায় স্কুলে যেতে মানা কিশোরীদের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 04:18 PM Dec 01, 2018Updated: 05:19 PM Dec 01, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় এগোচ্ছে৷ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে সমাজ৷ তা সত্ত্বেও ঋতুমতীদের নিয়ে চিন্তাভাবনা বদলায়নি অনেকেরই৷ কেরলের সবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলার প্রবেশে বাধার ঘটনাই আরও একবার এই সত্যিটাই প্রমাণ করে দিয়েছে৷ অযৌক্তিক ভাবনাচিন্তার শিকড় এতটাই গভীরে লুকিয়ে রয়েছে যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও বদলাতে পারেনি কিছুই৷ এখনও পর্যন্ত কোনও ঋতুমতী মহিলাই প্রবেশ করতে পারেননি ওই মন্দিরে৷ এ তো নয় গেল মন্দিরের কথা৷ কিন্তু জানেন কি উত্তরাখণ্ডের একটি স্কুলেও ঢুকতে দেওয়া হয় না ঋতুমতীদের? অবাক লাগলেও এটাই সত্যি৷

Advertisement

[বিয়ে কবে করবে? যুবককে প্রশ্ন করে এ কী হল অন্তঃসত্ত্বার!]

উত্তরাখণ্ডের ইন্দো-নেপাল সীমান্ত এলাকার জেলা পিথোরাগড়৷ ওই জেলারই প্রত্যন্ত গ্রাম সেল৷ গ্রামে শিক্ষাদীক্ষার আলো এখনও সেভাবে প্রবেশ করেনি৷ অশিক্ষা, কুসংস্কারের অন্ধকারেই দিনরাত কাটে গ্রামবাসীদের৷ বলা যেতেই পারে ওই গ্রামের বাসিন্দারা এখনও কয়েক যুগ পিছিয়ে রয়েছেন৷ একঘেয়ে পুরনো ধ্যানধারণাকে অবলম্বন করেই এগিয়ে চলেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম৷ গ্রামের কিশোরীদের দাবি, ঋতুমতী অবস্থায় স্কুলেও যেতে পারে না তারা৷ প্রতি মাসে প্রায় ৫-৭দিন এ কারণে স্কুলে অনুপস্থিত থাকতে হয় তাদের৷ এ কারণেই বছরে অনুপস্থিতির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৮০দিন৷ দশম শ্রেণির পড়ুয়া হরিপ্রিয়া জানায়, ‘‘ঋতুমতী হওয়ার জন্য স্কুলে যেতে না পারলে, মন খারাপ লাগে৷ কিন্তু কেউ সেকথা ভাবে না৷’’ একই দাবি অন্যান্যদেরও৷

[অন্তঃসত্ত্বাকে নবজীবন দান করলেন রাজ্যপাল, জানেন কীভাবে?]

কিন্তু কেন এই আজব নিয়ম? কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের সামনেই রয়েছে একটি মন্দির৷ স্কুলে যাতায়াতের রাস্তার পাশেই পড়ে সেটি৷ স্থানীয়দের দাবি, ঋতুমতী অবস্থায় ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসাযাওয়া করলে মন্দিরের ‘পবিত্রতা’ নষ্ট হতে পারে৷ তাই ওই সময়ে কিশোরীদের বাড়ি থেকে বেরনো বারণ৷

বাড়িতেও অবাধ যাতায়াত করতে পারেন না ঋতুমতীরা৷ পুজোর ঘর এবং রান্নাঘরে যেতে দেওয়া হয় না তাঁদের৷ গ্রামবাসীদের এই ধ্যানধারণা বদলানো সম্ভব হয়নি বলেই দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের৷ 

[কড়কড়ে নোট নিয়ে চম্পট ইঁদুর, ক্যাশবাক্স খুলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীর]

মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিক যদিও সমস্যা সমাধানে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন৷ কোন কোন পরিবার এই চিন্তাধারায় বিশ্বাসী তা সমীক্ষা করে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন তিনি৷ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে বলেই জানান মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিক৷

The post এই গ্রামে ঋতুমতী অবস্থায় স্কুলে যেতে মানা কিশোরীদের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement