সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১২ সালে বিশ্বে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল ‘No Easy Day’ নামের একটি বই। কারণ, সেখানে কুখ্যাত আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের হত্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছিলেন অ্যাবটাবাদ অভিযান বা ‘অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার’-এ শামিল মার্কিন নেভি সিল ম্যাথিউ স্কট বিসোনেট। যার ফলে, সেনার গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে বহু আইনি ঝক্কি পোহাতে হয় তাঁকে। এবার সেই পথে এগিয়েই নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: লালফৌজের পাশে ‘যুদ্ধের দেবতা’, মার্কিন সেনাঘাঁটিতে অগ্নিবৃষ্টি সময়ের অপেক্ষা মাত্র!]
সোমবার এক নির্দেশিকা জারি করে ‘মিনিস্ট্রি অফ পার্সোনাল, পাবলিক গ্রিভানসেস অ্যান্ড পেনশনস’। সেখানে সাফ বলা হয়েছে, ভারত সরকারের গোয়েন্দা বা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংস্থা থেকে অবসরপ্রাপ্ত কোনও কর্মী বা আধিকারিক সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানের অনুমতি ছাড়া নিজের কর্মজীবনের বিষয়ে কোনও বই প্রকাশ করতে পারবেন না। সেখানে আরও বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নিজের কর্মসূত্রে পাওয়া এমন কোনও নথি বা খবর প্রকাশ করতে পারবেন না যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বিপন্ন হয়। এর অন্যথায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিশ্লেষকদের মতে, ফৌজ, DRDO (প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা), R&AW (গুপ্তচর সংস্থা), ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স-এর মতো জায়গায় কাজ করার সময় অনেক গোপন খবর আধিকারিকদের কাছে থাকে। সেগুলি জনসমক্ষে চলে এলে দেশের ক্ষতি হতে পারে। গোপন তথ্য চলে যেতে পারে চিন ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলির হাতে। ফলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে লাদেন হত্যা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে নেভি সিল ম্যাথিউ স্কট বিসোনেট যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন তার রেশ এখনও রয়েছে। তবে মার্কিন প্রশাসনের হাতে বই বিক্রির সমস্ত টাকা (প্রায় ৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার) জমা দিয়ে শাস্তির থেকে রক্ষা পান তিনি। ওই ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামরিক ও প্রশাসনিক তথ্য ফাঁস হওয়া রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হয়। বিসোনেটের মতো ঘটনা রুখতে এবার সেই পথে হাঁটল ভারত বলেই মত বিশ্লেষকদের।