সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই আসছে উৎসবের মরশুম। শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। তার আগেই দেশের মানুষকে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন। কেরলে ওনাম উৎসব পালনের জেরে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। রবিবারই দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে কেরল। ২৪ ঘণ্টায় কেরলে সংক্রমণ ১১,৭৫৫ সেখানে মহারাষ্ট্রে ১১,৪১৬। একইভাবে পুজোয় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার সেই উদ্বেগের কথাই শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের বক্তব্য, নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রমাণ করার জন্য ভিড়ের প্রয়োজন নেই। কোনও ধর্ম বা ভগবান বলে না জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ধুমধাম করে উৎসব পালন করতে। তাই বাড়িতে বসে পরিবারের সঙ্গে উৎসব পালনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রবিবার দেশে করোনা সংক্রমণ ৭০ লক্ষ পেরিয়ে গেল। এই পরিস্থিতিতে ‘সানডে সংবাদ’ অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষকে সচেতন করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় হর্ষ বর্ধন বলেন, “ধর্মে বিশ্বাস রয়েছে সেটা দেখানোর জন্য ভিড় করে বাইরে বেরিয়ে জড়ো হওয়ার কোনও দরকার নেই। তা হলে আরও বেশি বিপদ ডেকে আনব। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ভাইরাসকে শেষ করে মানবতাকে বাঁচানো। এটাই আমাদের ধর্ম। এটাই গোটা বিশ্বের ধর্ম।” সামনেই দুর্গা পুজো, দশেরা, ছট পুজো, দিওয়ালি। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে পুজোর কেনাকাটার ভিড় শুরু হয়েছে। দিওয়ালির আগে একই দৃশ্য দেখা যেতে পারে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে।
[আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশের পর এবার দিল্লি, শর্তসাপেক্ষে দুর্গাপুজোর অনুমতি দিল কেজরিওয়ালের সরকার]
ওনামের পর কেরলের সংক্রমণ বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে হর্ষ বর্ধন বলেন, “কঠিন পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কোনও ধর্ম বা ভগবান বলে না বাইরে বেরিয়ে জাঁকজমক করে উৎসব করতে হবে। বড় বড় প্যান্ডেলে গিয়ে পুজো দিতে হবে। যদি আপনি জানেন বাইরে আগুন জ্বলছে এবং তা সত্ত্বেও ধর্মের নামে সেই আগুনে ঝাঁপ দেন, সেই উৎসবের সার্থকতা কোথায়? বাড়িতে বসেও প্রার্থনা করা যায়। উৎসব পালন করতে গিয়ে যদি আমরা সুরক্ষাবিধি উপেক্ষা করি, দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকর হতে পারে। তা আমাদেরই বিরাট সমস্যায় ফেলে দেবে।” কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে হর্ষ বর্ধন জানান, কেন্দ্র অনেকগুলি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সবাইকে ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার দিকেই নজর দিচ্ছে সরকার। অগ্রাধিকারও ঠিক করা হচ্ছে সব বিষয় মাথায় রেখে।