সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প স্বচ্ছ ভারত অভিযান৷ এই প্রকল্পকে প্রচারের আলোতে আনতে এরসঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বহু খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব৷ সচেতনতা তৈরি করতে বিজ্ঞাপনেও ঢালাও খরচ করছে কেন্দ্র৷ তবে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের জেলাশাসক শীতল ভার্মা স্বচ্ছ ভারত অভিযানের প্রচারের যে নির্দেশিকা জারি করলেন, তা জানতে পারলে হয়তো অবাক হবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷
[প্রকাশিত সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল, টেক্কা দিল ছাত্রীরাই]
২০১৪-তে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার৷ সেই বছরই ২ অক্টোবর অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তিনি৷ দেশ জুরে শুরু হয়েছিল সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতা অভিযান৷ ২০১৯-এ মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মদিবস৷ এই সময়ের মধ্যে দেশের সমস্ত বাড়িতে পাকা টয়লেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র৷ আর প্রধানমন্ত্রী সেই উদ্যোগে শামিল হতেই জেলাশাসকের এমন অদ্ভুত নির্দেশিকা৷ কী করলেন জেলাশাসক? জেলার সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের তিনি নির্দেশ দেন, বাড়ির টয়লেটে বসে ছবি তোলার৷ তারপর সেই ছবি সম্বলিত তথ্য নিজ নিজ পঞ্চায়েতে জমা করার৷ তেমনটা না করলে, মিলবে কড়া শাস্তি৷ মাইনে কাটা যাবে সরকারি কর্মীদের৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সীতাপুরের স্কুল শিক্ষক ভগবতী প্রসাদের ছবির মাধ্যমে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, টয়লেটে বসে নিজের ছবি তুলে, সেই ছবি সরকারি নথিতে দিয়েছেন ব্যক্তি৷ তথ্যের মধ্যে রয়েছে তাঁর নাম, ঠিকানা, আধার কার্ড নম্বর, ভোটার কার্ড নম্বর ইত্যাদি৷
[মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নতুন বিভাগ আনছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক]
জানা গিয়েছে, কেবল ভগবতী প্রসাদ নন, সীতাপুরের প্রায় সমস্ত সরকারি কর্মীদেরই এই ভাবেই বাড়িতে পাকা টয়লেট থাকার প্রমাণ দিতে হচ্ছে৷ নির্দেশ রয়েছে ২৭ মে-র মধ্যে জমা করতে হবে ছবি সম্বলিত নথি৷ বিকট হলেও, জেলাশাসকের এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানান জেলার চিফ ডেভলপমেন্ট অফিসার দেবকৃষ্ণ ত্রিপাঠী৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগকে সফল করার জন্য দেওয়া এই নির্দেশিকায় অবাক হওয়ার কিছু দেখছেন না তিনি৷ তবে জেলার চিফ ডেভলপমেন্ট অফিসার যতই সাধুবাদ জানাক না কেন, এই নির্দেশে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক সরকারি কর্মচারী৷ তাদের বক্তব্য টয়লেটে বসে এমন ছবি তোলা সত্যি অস্বস্তির৷