shono
Advertisement

বাড়ি ফিরেই হেঁশেলে ঢুকবেন অভিজিৎ, বলছেন আত্মীয়-বন্ধুরা

নোবেলজয়ীর রসনাবিলাসের গোপন কথা জানালেন পরিচারিকা। The post বাড়ি ফিরেই হেঁশেলে ঢুকবেন অভিজিৎ, বলছেন আত্মীয়-বন্ধুরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:56 AM Oct 15, 2019Updated: 11:56 AM Oct 15, 2019

অভিরূপ দাস: অর্থনীতি তাঁর প্রিয় বিষয়। আর ততটাই প্রিয় গড়িয়াহাট মার্কেটের কাতলা। সোনার ছেলে ঘরে ফিরলে তাই বাজার থেকে আসবে মনপসন্দ সেই মাছ। তবে পছন্দের রান্না তৈরি হবে না। কারণ, প্রিয় পদ নিজের হাতেই রান্না করেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমিই আসল গিন্নি’, বাড়িতে ঢুকতে চেয়ে ধরনায় ‘অচেনা’ মহিলা]

২২ অক্টোবর দেশে ফেরা। ওই দিনই দিল্লিতে তাঁর নতুন বইয়ের মলাট খুলবে। সেই বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ সেরে দমদম বিমানবন্দরে নামবেন কলকাতার ভূমিপুত্র। নোবেল পেয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন যিনি, তাঁকে কীভাবে চমক দেওয়া যায়, সেটাই ভাবছেন দক্ষিণ কলকাতার আবাসনের বাসিন্দারা। পাড়ার ছেলে অর্থনীতিতে বিশ্বসেরা, খবর চাউর হতেই বালিগঞ্জে ‘সপ্তপর্ণী’র ন’তলায় সাজ সাজ ব্যাপার।
দীর্ঘদিনের পরিচারিকা রমা হালদার জানিয়েছেন, “বড়দা ভীষণ খেতে ভালবাসেন। কলকাতায় এলেই তাই হুকুম হয়, ভাল মাছ নিয়ে এসো।”

নিজের হাতেই কাতলা মাছ রান্না করেন অভিজিৎ। এবারও তার অন্যথা হবে না। পুজোয় বাড়ি আসা হয়নি। তার উপর এবার পুরস্কারের ঝুলিতে নোবেল। দুই সেলিব্রেশন একসঙ্গে মেটাতে রাজকীয় মেনুর ভাবনা সকলের। পাঠার মাংস তো থাকবেই, নোবেলজয়ীর প্রিয় মাছের মাথা দিয়ে ডালও থাকবে। আর অন্য কিছু? “শাকের মধ্যে কলমি শাকটাই দাদা পছন্দ করেন বেশি”, জানিয়েছেন রমা। তবে স্রেফ খেতে নয়, বাড়িতে এলেই খুন্তি হাতে নিজেই ঢুকে পড়েন হেঁশেলে। বাড়িতে এসেছেন, অথচ একদিনও রান্না করেননি, এমন কখনও হয়নি বলেই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
ষাট ছুঁইছুঁই বয়সেও বেতের মতো চেহারা। খাদ্যরসিক নোবেল জয়ীর ফিট থাকার রহস্য ফাঁস করেছেন রত্নগর্ভা। মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “ও কিন্তু দারুণ ফিট। তার প্রধান কারণ ও প্রচুর হাঁটে। গাড়ি ছাড়াই ও অনেক দূর হেঁটে হেঁটে চলে যায়। আর সে কারণেই এত ফিট রয়েছে এখনও।” আজকের নোবেলের পিছনে এই হাঁটাহাঁটির ক্ষীণ যোগসূত্র দেখছেন মা। জানিয়েছেন, “নানা জায়গায় গিয়ে ও মানুষের
সঙ্গে কথা বলেছে। প্রান্তিক সে সমস্ত জায়গায় পায়ে হেঁটেই যেতে হয়েছে। মানুষের সঙ্গে মিশে যে তথ্য ও পেয়েছে ওর গবেষণাপত্রে সে কথাই উঠে এসেছে।”
আপাতত ছেলের স্টাডিরুম পরিষ্কার করার কাজ চলছে। অর্থনীতি তো অবশ্যই, বাংলা সাহিত্যেও তাঁর উৎসাহ প্রবল। অর্থনীতির বইয়ের পাশেই তাই দাঁড়িয়ে পরশুরাম সমগ্র। বালিগঞ্জের ঝাঁ-চকচকে ফ্ল্যাটে এখন একাই থাকেন মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বক্ষণের সঙ্গী দুই পরিচারক রমা আর হরিশ। অভিজিতের অশীতিপর মায়ের দেখাশোনা করেন তাঁরাই। ছোট ভাই অনিরুদ্ধ ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায়
ব্যবসায়ী।

[আরও পড়ুন: দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংকটজনক, মত নোবেলজয়ী অভিজিতের]

আগামী মঙ্গলবারই শহরে ফিরছেন তিনি। মার্কিন নাগরিকত্ব নিলেও নিজের শিকড় ভোলেননি অভিজিৎ। ভোলেননি ছোটবেলার সাউথ পয়েন্ট স্কুল। সেখানে আট বন্ধুর সেই গ্রুপের অনেকেই আজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তবু সুযোগ পেলেই তাঁরা আড্ডা দিতে বসে পড়েন। এদিনও বাল্যবন্ধুর বিশ্বজয়ের খবর শোনার পরেই অভিজিতের বাড়িতে দৌড়ে এসেছিলেন ছোটবেলার বন্ধু বাপ্পা সেন। তথ্যচিত্র নির্মাতা বাপ্পা সেনের কথায়,
“আমরা অর্থনীতির কী-ই বা বুঝি? কিন্তু ওর সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে কখনও তা মনে হয় না। গল্প-আড্ডায় আমাদের সব কথাই ও মন দিয়ে শোনে।”

The post বাড়ি ফিরেই হেঁশেলে ঢুকবেন অভিজিৎ, বলছেন আত্মীয়-বন্ধুরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার