সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের সুলতান তিনি। প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি পেলেই কয়েকশো কোটির ব্যবসা তো মামুলি বাত। এখন আবার পারিশ্রমিক নিয়ে সিনেমা করা ছেড়েই দিয়েছেন প্রায়। কারণ অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও অংশীদারিত্ব থাকে তাঁর। তাই বিশাল এই আয়ের অনেকটা অংশই তাঁর ঝুলিতেই থাকে।
[ডায়েটের মাঝেও ১৫ রকমের বিরিয়ানি খেতেন বাহুবলী প্রভাস!]
বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের এই বিলাসিতা কি বরাবরই ছিল? প্রশ্নের উত্তরে সকলকে চমকে দিয়ে নিজের ছোটবেলার আর্থিক অনটনের কথা ফাঁস করলেন সলমন খান। দাবাং স্টার জানালেন, ছোটবেলার বেশিরভাগটাই কেটেছে আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে। এমনকী, একটি সাইকেল কেনাও নাকি বিলাসিতা মনে হত তাঁর কাছে। ছবির চিত্রনাট্য লিখে মাসে মাত্র ৭৫০ থেকে ১০০০ টাকা রোজগার করতেন তাঁর বাবা সেলিম খান। কোনওমতে সংসার চলে যেত তা দিয়ে। তবুও সলমনের শখ পূরণ করেছিলেন তাঁর বাবা। বড় ছেলেকে ৩০০০ টাকার সাইকেল কিনে দিয়েছিলেন সেলিম খান। এই টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলোর জন্যই নাকি আজও গ্যালাক্সি ছেড়ে যেতে পারেননি বলিউডের সুলতান।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে নিজের বিইং হিউম্যান সংস্থা থেকে দু’টি ই-সাইকেল প্রকাশ করেন সলমন। নিজের বাড়ি থেকে অনুষ্ঠানের স্থান পর্যন্ত সেই ই-সাইকেল চালিয়েই আসেন তিনি ও তাঁর ভাই সোহেল খান। অনুষ্ঠানে এসে সলমন জানান সাইকেল তাঁর কতটা প্রিয়। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ থেকে ‘কিক’ পর্যন্ত যতবারই তিনি সিনেমার খাতিরে সাইকেল চড়েছেন প্রতিবার রোমাঞ্চ অনুভব করেছেন।
[ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ডে কালো গাউনে নজর কাড়লেন সিজলিং প্রিয়াঙ্কা]
পরিবেশ রক্ষার জন্য মোটর সাইকেলের বদলে ই-সাইকেলের ব্যবহারের উপরই জোর দেন সলমন। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের পক্ষে মোটর সাইকেলের মতো জিনিস খুবই বিপজ্জনক। গতির লড়াই করতে হলে রেসিং ট্র্যাকেই করা উচিত বলে অভিমত অভিনেতার। শহরের রাস্তায় ও রাজপথে মোটর সাইকেলের বদলে ই-সাইকেল চালানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেন তিনি। নিজের সংস্থার এই দু’টি বাইকের দাম সলমন ধার্য করেছেন ৪০,০০০ টাকা থেকে ৫৭,০০০ টাকা পর্যন্ত। সাধারণ মানুষ অবশ্যই তাঁর উদ্যোগে সাড়া দেবেন বলে মনে করেন তিনি।
[ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ডে কালো গাউনে নজর কাড়লেন সিজলিং প্রিয়াঙ্কা]