সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাল ১৯৯৯। কারগিল যুদ্ধের বছর। যুদ্ধের ঠিক আগেই মুক্তি পেল 'সরফরোশ'। রোম্যান্টিক আমির খানের এক ভিন্ন রূপ দেখতে পেলেন দর্শক। ক্রস বর্ডার টেরোরিজম নিয়ে তৈরি সিনেমার উদাহরণ হিসেবে এখনও এই সিনেমার নাম করা হয়। আমিরের অভিনয় আজও মুগ্ধ করে দর্শকদের। কিন্তু পরিচালক জন ম্যাথিউ মাত্থন যদি নিজের প্রযোজক বন্ধুর কথা শুনতেন। তাহলে এই সিনেমার নায়ক হতে পারতেন বলিউডের আরেক খান। তিনি শাহরুখ খান।
হ্যাঁ, বলিউড বাদশাকে নেওয়ার পরামর্শই জনকে দেওয়া হয়েছিল। সোমবারই 'সরফরোশ' রিলিজের পঁচিশ বছর হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে সেই সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জাতীয় পুরস্কারজয়ী ছবির পরিচালক জানান, এই ছবি তৈরির আগে বছরের পর বছর গবেষণা করেছিলেন তিনি। যখন নায়ক খুঁজছিলেন, তাঁর প্রযোজক এবং সিনেমা জগতের বন্ধুরা বার বার শাহরুখকে নেওয়ার কথা বলছিলেন। এঁদের মধ্যে একজন আবার ছিলেন মনমোহন শেট্টির মতো প্রযোজক।
[আরও পড়ুন: গরমে লাগাতার ভোট প্রচার, অসুস্থ সোহম ভর্তি হাসপাতালে, কেমন আছেন এখন?]
জন হয়তো শাহরুখকে প্রস্তাব দিয়েও দিতেন। একটি কারণে নিজের সিদ্ধান্ত পালটে ফেলেন। ছবির জন্য রাজস্থান ও দিল্লিতে গিয়ে রেইকি করেছিলেন জন। তাঁর গবেষণার কাজ তখনও চলছিল। দিল্লির এক গেস্টহাউসে থাকাকালীন তিনি টিভিতে 'দিল' সিনেমাটি দেখছিলেন। ছবির একটি দৃশ্যে আমিরের চরিত্র রাজা মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত মধু চরিত্রকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। যদিও সেটির অভিপ্রায় ছিল মধুর চরিত্রকে শিক্ষা দেওয়া। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতেই রাজা এই নাটক করেছিল।
সে যাই হোক, এই দৃশ্যে আমিরের অভিনয় পরিচালক জনের মন ছুঁয়ে যায়। তখন আমিরের চকোলেট বয় ইমেজ ছিল বলিউডে। কিন্তু, অভিনেতা আমিরের এক অন্যদিক যেন পরিচালক আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন। সেই কারণেই তিনি 'সরফরোশ' সিনেমার এসিপি অজয় সিং রাঠোর হিসেবে আমিরকে বেছে নেন। এই চরিত্র তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
[আরও পড়ুন: সলমনের বাড়িতে হামলার পিছনে দেশবিরোধী শক্তি! তদন্তে আর কী জানা যাচ্ছে?]