shono
Advertisement

সমাজসেবায় বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেটের মতো ধনকুবেরকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে জামশেদজি টাটা

গত শতাব্দীর সেরা সমাজসেবীর শিরোপা পেলেন টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা।
Posted: 09:59 AM Jun 25, 2021Updated: 12:26 PM Jun 25, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারলেন না বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেটের মতো ধনকুবেররা। বরং তাঁদের পিছনে ফেলে গত শতাব্দীর সেরা সমাজসেবীর শিরোপা পেলেন টাটা (Tata) গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটা (Jamsetji Tata)। হুরুন রিপোর্ট অ্যান্ড এডিলগিভ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা গত শতাব্দীর সেরা ৫০ জন সমাজসেবীর তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকাতেই বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেটদের টপকে শীর্ষে রয়েছে জামশেদজি টাটার নাম। তালিকাতে টাটা ছাড়াও রয়েছে উইপ্রো গোষ্ঠীর কর্ণধার আজিম প্রেমজির নামও।

Advertisement

সংস্থার তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, জামশেদজি টাটা সমাজসেবী হিসাবে সবমিলিয়ে মোট ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন। যা বিল গেটস বা ওয়ারেন বাফেটের মতো ধনকুবেরদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। বিল গেটস ও তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা অনুদান দিয়েছেন ৭৪.‌৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওয়ারেন বাফেটের অনুদান ৩৭.‌৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, জর্জ সোরোস অনুদান দিয়েছেন ৩৪.‌৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও জন ডি রনফেলার অনুদান দিয়েছেন ২৬.‌৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হুরুনের মুখ্য গবেষক এবং চেয়ারম্যান রুপার্ট হুজেওয়ারফ জানিয়েছেন, গত শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক ব্যক্তিত্বই প্রচুর অর্থ অনুদান হিসাবে দিয়েছিলেন। তবে তাঁদের সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটা। গত ১০০ বছরে তাঁর অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য। যদিও এই তালিকায় আলফ্রেড নোবেলের মতো ব্যক্তিত্বের নাম নেই। যা সত্যিই অবাক করার মতো।

[আরও পড়ুন: ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণে লাদাখ যোগ, কারগিল থেকে ধৃত ৪ পড়ুয়া]

জানা গিয়েছে, জামশেদজি টাটা ১৮৮২ সাল থেকেই দানধ্যান করা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ সরিয়ে রেখে বাকি অর্থ বিভিন্ন সমাজসেবার কাজে অনুদান হিসেবে দিয়ে দেন। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতেও প্রচুর টাকা ব্যয় করেছিলেন তিনি। যা কিনা টাটা গোষ্ঠীর অন্যতম অবদান হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। উল্লেখ্য, জামশেদজি টাটা ছাড়া উইপ্রো গোষ্ঠীর কর্ণধার আজিম প্রেমজির নাম রয়েছে এই তালিকায়। তিনি ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, হুরুন রিপোর্ট অ্যান্ড এডিলগিভ ফাউন্ডেশনের ওই রিপোর্টে ৩৮ জন আমেরিকার, পাঁচজন গ্রেট ব্রিটেনের এবং চিন থেকে তিনজনের নাম রয়েছে। তবে তালিকার ৫০ জনের মধ্যে বর্তমানে বেঁচে রয়েছেন মাত্র ১৩ জন।

[আরও পড়ুন: মাস্টারস্ট্রোক! কাশ্মীর ইস্যুতে সর্বদল ডেকে একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যভেদ প্রধানমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement