সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) প্রধানমন্ত্রী পদে দেখা যেতেই পারে, এমনই মন্তব্য করেছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, এখনই প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে ভাবছেন না তিনি। আপাতত বিহারের জন্য কাজ করতে আগ্রহী নীতীশ। সেই সঙ্গে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করে তুলতে চান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার তেজস্বী (Tejaswi Yadav) বলেছিলেন, যদি নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাহলে নীতীশ নয় কেন? তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ নীতীশের উপরেই ছেড়েছিলেন তেজস্বী। সেই সঙ্গে আরও বলেছেন, “বিহারে যা হয়েছে, তাতে গোটা দেশের কাছে বার্তা গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ভয় না পেয়ে লড়াই করতে হবে। বিরোধী নেতাদের অনেকেরই যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী হতেই পারেন।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এনডিএ জোট ভেঙে নীতীশ বেরিয়ে এসেছেন, তার অন্যতম কারণ হল তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান।
[আরও পড়ুন: মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি, ফের কি জেডিইউয়ের পথে?]
জল্পনার মাঝেই নীতীশ জানিয়ে দিলেন, এখনই প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে ভাবছেন না। তিনি বলেছেন, “আমি হাত জোড় করে বলছি, এরকম চিন্তা আপাতত নেই আমার মনে। সকলের জন্য কাজ করাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। বিরোধী দলগুলি যেন একত্রিত হয়ে কাজ করে, সেই চেষ্টা করব।” বিরোধী ঐক্য প্রসঙ্গে কী ভূমিকা নেবেন নীতীশ? উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, “আমি আপাতত বিহারেই কাজ করছি। তবে অনেকে আমাকে ফোন করছেন। আমি বলতে চাই, সব কাজই করব, তবে সঠিক সময়ে।”
বিহারের (Bihar) এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসে মহাগটবন্ধনের সরকার গড়েছে আরজেডি, জেডিইউ, কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বিশেষজ্ঞদের মতে, নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরে বিহারের মসনদে বসানো হবে তেজস্বী যাদবকে। সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। অন্যদিকে, বিহার সরকার ফেলে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী, এমন দাবি তোলা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। নীতীশ কুমারকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে পারবে না কংগ্রেস, সেই কথা বলাই বাহুল্য। ফলে আগামী দিনে কোনদিকে মোড় নেয় বিরোধী জোটের রাজনীতি, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।