সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাজমহল দেশের ইতিহাসে কলঙ্ক। এহেন মন্তব্য করে বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন বিজেপি নেতা সংগীত সোম। এবার তা নিয়েই তীব্র কটাক্ষ করলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। তাঁর বক্তব্য, শুধু তাজমহল কেন, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে শুরু করে লালকেল্লা সবই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক।
[ জনগণের করের টাকায় কেন রামের মূর্তি, যোগীকে প্রশ্ন আসাদউদ্দিনের ]
সূত্রপাত হয়েছিল যোগী সরকারের এক সিদ্ধান্তে। উত্তরপ্রদেশের দ্রষ্টব্য স্থান থেকে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহলকে বাদই দিয়ে দিয়েছিল সে রাজ্যের পর্যটন বিভাগ। তা নিয়েই জমে বিতর্ক। ইউনেসকো যে সৌধকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যে সৌধ দেখতে বছরভর ভিড় জমান বিদেশি পর্যটকরা, তা কী করে অস্বীকার করছে যোগী সরকার? দেশের পর্যটন অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা আছে তাজমহলের। প্রশ্ন ওঠে, স্রেফ ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ট্রাম্প কার্ড হিসেবেই কি এই সিদ্ধান্ত! যোগীর মুখে অবশ্য এ নিয়ে কুলুপ। কিন্তু সরব হয়েছেন তাঁর দলের নেতা সংগীত সোম। তাঁর দাবি, বিশ্বাসঘাতকের হাতে তৈরি তাজমহল দেশের ইতিহাসে কলঙ্ক। এরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তাঁর দাবি ছিল, তাহলে বরং যোগী বিদেশী পর্যটকদের তাজমহল দেখতে বারণ করুন। এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন আজম খান। তাঁর কটাক্ষ, শুধু তাজমহলের উপর কোপ কেন? রাষ্ট্রপতি ভবনও তো অতীত শাসকদের হাতে তৈরি। সেখানেও দাসত্বের চিহ্ন আছে। সুতরাং তাও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক। এছাড়া যা কিছু খিলান, গম্বুজ আছে সবই ভেঙে ফেলা হোক। কুতুব মিনার, লালকেল্লাকেও দেশের মাটি থেকে মুছে দেওয়ার দাবি তুলেই বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন আজম খান।
[ ২০১৮ দিওয়ালির আগেই রামমন্দির: সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ]
বস্তুত বিজেপি নেতার এই দাবিতে সারা দেশ জুড়েই সমালোচনার ঝড়। দেশের ইতিহাসকে ধর্মীয় অনুষঙ্গে ব্যাখ্যা করে কেন রাজনীতি করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও এ প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেনি। তাতে জল্পনা আরও বাড়ছে। তবে কি বিজেপি নেতৃত্ব সংগীত সোমের সঙ্গে একমত? এ প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলের সামনে।
The post ‘শুধু তাজমহল নয়, রাষ্ট্রপতি ভবনও ভেঙে ফেলা হোক’ appeared first on Sangbad Pratidin.