বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও যুবশ্রীর অনুকরণে কর্ণাটকে (Karnataka) গৃহলক্ষ্মী ও যুবনিধি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিল কংগ্রেস (Congress)। সোমবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জানান, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে মহিলাদের প্রতিমাসে ২ হাজার ও বেকার স্নাতক যুবকদের প্রতিমাসে ৩ হাজার ও ডিপ্লোমাপ্রাপ্তদের দেড় হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতে ছাড় দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
এদিন কর্ণাটকের রামদ্রাগ, বেলগাঁও, জাদাগ এলাকায় যুবকদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। হাঙ্গালে একটি জনসভা করেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও জেডিএসকে আক্রমণের নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি বিরোধী দু’দলই পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলে আক্রমণ শানান শাহ। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই প্রচারের পারদ উর্ধমূখী কন্নড় রাজ্যে। প্রধান দুই প্রতিপক্ষের নেতারা দাঁত কামড়ে পড়ে রয়েছেন সেখানে।
[আরও পড়ুন: অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কোন লাভের আশায়? টুইটে বিদ্বজ্জনদের বিঁধলেন অমিত মালব্য]
এদিন প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস ও জেডিএসের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হন শাহ। ফের পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ শাহর মুখে। তিনি জানান, দুই দলই পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই একসঙ্গে সরকার গঠন করেছিল। সেইসঙ্গে লিঙ্গায়েত ইস্যুও উসকে দেন। তিনি জানান, এবার নির্বাচনে বিজেপি সবচেয়ে বেশি লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় থেকে প্রার্থী করেছে। আর যেসব নেতৃত্ব বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তার কোনও প্রভাব ভোটবাক্সে পরবে না। বাসবরাজ বোম্বাই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তারও জবাব দেন শাহ। তাঁর মতে, কংগ্রেস দুর্নীতির অভিযোগ করছে। অথচ একটি ক্ষেত্রেও আদালতে যায়নি। আসলে সরকারকে কলঙ্কিত করতেই কংগ্রেস অনেকদিন ধরেই ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: পরকীয়া ভাঙতে চাওয়ার শাস্তি! প্রেমিকার খুদে সন্তানকে ফুটন্ত জলে ডুবিয়ে ‘মারল’ যুবক]
এদিকে প্রচারে যুব সম্প্রদায়ের মন জয়ে একাধিক প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেন সোনীয়াতনয় রাহুল গান্ধী। সেইসঙ্গে বিজেপি সরকারকে নিশানা করে বলেন, “রাজ্যে বেকারত্বের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। কর্মসংস্থানের কোনও দিশা এই সরকার দিতে পারেনি। অথচ বেকার যুবকরা চাকরির বদলে অন্য কোনও কাজ করতে চাইলে ২০ শতাংশ কমিশন চাওয়া হয়। আর প্রধানমন্ত্রী বলেন কাউকে দুর্নীতি করতে দেবেন না। অথচ তিনি যখন প্রচারে আসবেন তখন তাঁর মঞ্চেই একাধিক নেতারা থাকবেন যাঁরা চরম দুর্নীতিগ্রস্ত বলে পরিচিত।”