সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিশোরীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল পাশের পাড়ার যুবকের। তাঁকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন নাবালিকা। এই ‘অপরাধে’ গলার নলি কেটে তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠল নিজের মামার বিরুদ্ধে। ভাগ্নিকে হত্যার পর পালানোর চেষ্টা করলেও প্রতিবেশীরা ধরে ফেলে অভিযুক্তকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
ভয়ংকর এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আজমগড়ের। ১৭ বছরের কিশোরী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল পাশের পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে। যা নিয়ে আপত্তি ছিল কিশোরীর পরিবারের। ১৫ বছর আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বাবার। পরিবারের দেখাশোনা করতেন মামা মহম্মদ বীরেন্দ্র রাজভর। কিশোরী পছন্দের যুবককে বিয়ে করতে চাওয়ায় বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়েছিল। সেই চেষ্টায় আগে একবার পালিয়ে গিয়েছিল সে। কোনওভাবে তাঁকে নিরস্ত করা হয়েছিল। নতুন করে ফের পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। যা জানতে পারে পরিবার। এই বিষয়ে বোঝাতেই বাড়িতে এসেছিলেন অভিভাবক মামা। তখনই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
[আরও পড়ুন: Durand Cup Derby Live: যুবভারতীতে শাপমুক্তি, সাড়ে চার বছর পর ডার্বির রং লাল-হলুদ]
পুলিশ জানিয়েছে, আলোচনার সময় কিশোরী নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরতে রাজি হননি। এই নিয়েই তুমুল বচসা শুরু হয়। তখনই মেজাজ হারিয়ে ‘পরিবারের সম্মান রক্ষায়’ ছুরি নিয়ে নাবালিকার উপর ঝাপিয়ে পড়েন মামা। কিশোরীকে নলি কেটে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। পালানোর চেষ্টা করলেও তাঁকে ধরে ফেলেন প্রতিবেশীরা। বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।