অর্ণব দাস, বারাসত: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে নার্সিং পড়ুয়াদের হস্টেলে রাতে ঢুকে তাণ্ডব, শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থল বারাসতের অদূরে নীলগঞ্জ এলাকায়। এর জেরে দিনভর নার্সিং ছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত রইল কলেজ চত্বর। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যদপ্তর-সহ আইএনসিতে নির্দিষ্ট তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার জেলাশাসকের নির্দেশে কলেজে বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
জেলাসদর বারাসত (Barasat) সংলগ্ন দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ রঙ্গপুরের একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাতে হোস্টেলে (Hostel) ঢুকে নার্সিং পড়ুয়াদের সঙ্গে অভব্য আচরণের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি জেলাশাসক-সহ থানাতেও এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন নার্সিং (Nursing) পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, কলেজের এক ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। কয়েকদিন আগে রাতে মদ্যপ অবস্থায় সেই ডিরেক্টর গার্লস হোস্টেলে ঢুকে পড়ে দুর্ব্যবহার করার পাশাপাশি শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। লেডিস হোস্টেলের সামনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিসি ক্যামেরা বসানোর নিয়েও সরব হন ছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ বহুবার এর বিরোধিতা করেও সুরাহা হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্ষকদের সাতদিনের মধ্যে এনকাউন্টার করে মারা উচিত’, আর জি কর কাণ্ডে কড়া বার্তা অভিষেকের]
এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কলেজ চত্বরেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ (Agitation) দেখান তাঁরা। বিক্ষোভে অভিভাবকরাও সামিল হলে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে কলেজে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে ভয়ংকর কিছু ঘটে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিবাদী ছাত্রীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ''ভিত্তিহীন অভিযোগ। হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রী এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। ওদের খারাপ আচরণ এবং মোবাইলের অপব্যবহারের জন্য আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। তাই ওরা এসব করছে।''